নতুন মন্ত্রীসভায় অনেক হেভিওয়েট ও অভিজ্ঞ রাজনীতিককে বাদ দেয়া হয়েছে, এই ধারনা ভুল বলে মনে করেন আমাদের নতুন সময়ের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এতোগুলো শীর্ষ নেতাকে এভাবে একচেটিয়া বাদ দেয়ার চিন্তাটাই হতো দলের জন্য ক্ষতিকর, শেখ হাসিনা তেমন চিন্তা করতেই পারেন না। তিনি গতকাল ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তার মতে, তাদেরকে বাদ দেয়া হয়নি। বরং নতুন মন্ত্রীসভায় বিশেষ বিশেষ কারণে তাদেরকে এবার যুক্ত করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলী সিদ্ধান্ত বলে জনাব খান মনে করেন
আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোটের অংশীদার অন্যান্য দল থেকে মন্ত্রী না করার একটা কারণ হতে পারে, তাদেরকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকায় রাখার অভিপ্রায়। শেখ হাসিনা সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল গড়ে তুলে নির্বাচনে একচেটিয়া ফলাফলের অভিঘাত সামাল দিতে প্রয়াসী হয়েছেন।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের অত্যন্ত হেভিওয়েট এবং অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য যারা অন্ততঃ ১০ বছর শেখ হাসিনার সাথে মন্ত্রীসভায় ছিলেন, তাদেরকে এবং বিরোধী দলের অপরাপর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিতে পারেন। চেয়ারম্যানের এই পদ মন্ত্রীর সমমর্যাদারও করে দেয়া হতে পারে। এর ফলে সংসদীয় কমিটিতে সিনিয়র এবং মন্ত্রণালয় পরিচালনায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে আগামী মন্ত্রীসভার নবীণ সদস্যদেরকে আরও কার্যকরভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব বলে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আশা করেন।
তৃতীয় যে কারণ প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করেছেন সেটা হচ্ছে, কিছু অভিজ্ঞ এবং কিছু নবীণের সমন্বয়ে এমন একটা মন্ত্রীসভা করা, সেখানে সকল মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, চিন্তা-চেতনা এবং প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত হবেন।
এই তিন কৌশলের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একচেটিয়া ফলাফলের যে অভিযোগ এবং সংসদে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা থাকবে না বলে যে সন্দেহ, তার সমাধান করতেই প্রধানমন্ত্রী প্রয়াসী হয়েছেন বলে জনাব নাঈমুল ইসলাম খানের বিশ্বাস।
এই সিনিয়র সম্পাদকের মতে, এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মন্ত্রীসভার সদস্য নির্বাচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রীসভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র এখতিয়ার তারই।