ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৮:১৪:৪৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬তম বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে : ওবায়দুল কাদের

মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিনা গবেষণা আইনের খসড়া অনুমোদন

| ৫ বৈশাখ ১৪২৩ | Monday, April 18, 2016

ঢাকা : মন্ত্রিসভা আজ গবেষণা ও পারমাণবিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে শস্যের নতুন জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) গবেষণা আইন, ২০১৬’ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কেবিনেট সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, আইনটির লক্ষ্য হচ্ছে গবেষণা এবং পারমাণবিক উপায় ও কৌশল এবং আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানোর মাধ্যমে জলবায়ু ও পরিবেশ উপযোগী শস্যের জাত উদ্ভাবন করা।
তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসনামলে একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে বিনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৯৯৬ সালে একটি সংশোধনীর মাধ্যমে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়।
আলম জানান, সুপ্রীম কোর্টের আদেশে সামরিক শাসনামলের সকল অধ্যাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশ ও সংশোধিত আইনটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) গবেষণা আইন, ২০১৬’ এর খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে বলা হয়েছে যে, মূল আইন অনুযায়ী, বিনা’র সদর দফতর ময়মনসিংহে অবস্থিত হবে এবং সরকার দেশের অন্যান্য অংশে প্রতিষ্ঠানের উপ-কেন্দ্র বা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে।
কেবিনেট সচিব জানান, খসড়া আইন অনুযায়ী, ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে চেয়ারম্যান করে ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে এবং এই পর্ষদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যাদের পদমর্যাদা উপ-সচিবের নিচে নয়, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি যার পদ মর্যাদা একজন পরিচালকের নিচে নয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন এই পর্ষদের সদস্য হবেন।
এছাড়া, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের একজন প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের একজন প্রতিনিধি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মানোনীত দুজন সিনিয়র বিজ্ঞানী এই পর্ষদের সদস্য হবেন।
কেবিনেট সচিব বলেন, ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কাজ হবে টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক ভূমি ও পানি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করা।
তিনি আরো বলেন, যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শস্যের গুণগত মান উন্নয়ন, বালাই নিয়ন্ত্রন এবং কীট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও ইনস্টিটিউট পালন করবে।
আলম বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের শেষে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।
কেবিনেট সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে গত ৮-১০ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমীরাতের দুবাই নগরীতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্ব সরকার সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশ গ্রহনের বিষয়ে অবহিত করা হয়।
এছাড়া, গত ১৫-২০ মার্চ ভিয়েতনামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সফর এবং গত ৭-১১ মার্চ মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ৩৩তম এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশ গ্রহন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
মন্ত্রিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রিগণ বৈঠকে যোগ দেন। সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।