মারুফুল আলম : সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি অযথা হয়রানিমূলক মামলার শিকার হলে তিনি দুইটি পদ্ধতিতে মামলা করতে পারবেন। একটি হলো মামহানি মামলা, অপরটি অর্থ ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা।
বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, এই দুই ধরনের প্রতিকারের মাধ্যমে তাকে খালাস হতে হবে। তখনই তার বলার পথ থাকে যে, তাকে হয়রানি করা হয়েছে।
তবে এ ধরণের মামলায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তেমন কেউ জড়ায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালাস পেতে পাঁচ/দশ বছর লেগে যাবে, এমন দীর্ঘ সময়ের কারণে মামলায় যাওয়ার স্প্রিট কারো থাকে না।
মনজিল মোরশেদ বলেন, মামলা হলেই যে তাদের বিচার হবে তাও কিন্তু নয়। যেমন ১ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, চার্জশিট হওয়ার পরে সেখানে কিন্তু ১ হাজার থাকে না। পুলিশ যখন মামলার চার্জশিট দেয় তখন সেখানে অনেককে বাদ দেন। কারণ কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করতে হলে সবার নাম, ঠিকানা জোগাড় করে মামলার বিবরণে উল্লেখ করতে হয়। এটি বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আদালতে যখন চার্জশিট গঠন করা হয়, তখন অভিযুক্তের সংখ্যা আরো কমে যায়।
মনজিল মোরশেদ আরো বলেন, ১ হাজার বা ২ হাজার লোককে আসামী করে যে মামলাগুলো হয়, এগুলো অধিকাংশ রাজনৈতিক। এগুলোর শেষ পর্যন্ত কোনো সমাপ্তিই হয় না। অনেক সময় দেখা যায়, তদন্ত রিপোর্ট দুই বছরেও দিচ্ছে না। এক পর্যায়ে পুলিশ এ ব্যাপারে ইন্টারেস্টই দেখায় না। অথবা যে উদ্দেশ্যে এসব মামলা করা হয়, সে উদ্দেশ্য অনেকসময় এর মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।