ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:১৯:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মধ্যবিত্তের আয় কমেছে

| ২৯ আষাঢ় ১৪২২ | Monday, July 13, 2015

ছবি লোড হচ্ছে
ভালো নেই বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। ২০০১ সালের তুলনায় ২০১১ সালে দেশের মোট আয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির অংশ কমে গেছে। এমন পর্যবেক্ষণই উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায়।
পিউর গবেষণায় বলা হয়, ২০০১ সালে মোট আয়ে মধ্যবিত্তদের অংশ ছিল ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ২০১১ সালে সেটি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ বছরে আয়ে মধ্যবিত্তের অংশ কমেছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ সালে বাংলাদেশে মোট গরিব মানুষ ছিল ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষ ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ১০ বছরে তা হয়েছে ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ২০০১ সালে মধ্যম আয়ের মানুষ ছিল ১ শতাংশ, সেটি সামান্য বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া উচ্চ-মধ্যম আয়ের মানুষ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১০ বছরে বেড়ে হয়েছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়েই ভালো নেই মধ্যবিত্ত শ্রেণি। উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার কারণে তারা এখন চাপে আছে। পিউ রিসার্চ বলছে, মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই আগের চেয়ে দরিদ্র হয়েছে।
গবেষণাটিতে দৈনিক আয়সীমার ভিত্তিতে বিশ্বের জনগোষ্ঠীকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো দুই ডলার বা এর নিচে আয় করলে দরিদ্র শ্রেণি, ২-১০ ডলার আয় করলে নিম্নবিত্ত শ্রেণি, ১০-২০ ডলারে মধ্যবিত্ত, ২০-৫০ ডলারে উচ্চবিত্ত ও ৫০ ডলারের বেশি হলে উচ্চবিত্ত শ্রেণি। আয় শ্রেণির এ হিসাবে এক দশকে বিশ্বে মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা ৪০ কোটি থেকে বেড়ে ৭৮ কোটি হয়েছে। এর অর্ধেকই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের।
মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চীনে। দেশটিতে ২০০১ থেকে ২০১১ সালে এই জনগোষ্ঠী ৩ কোটি থেকে সাড়ে ২৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিশ্বের ১১১টি দেশের জনগোষ্ঠীর আয়বণ্টন ব্যবস্থা কেমন হয়েছে সেটি তুলে আনা হয়েছে এ গবেষণায়। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশ এ গবেষণা ফলাফলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দৈনিক ১০ থেকে ২০ ডলার বা ৮০০ থেকে ১,৬০০ টাকা আয় করা চার সদস্যের পরিবারকে মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে পিউ রিসার্চের গবেষণায়। এ হিসেবে বিশ্বে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনসংখ্যা এখন ১৭০ কোটি।
গবেষণাটির প্রধান লেখক রাকেশ কোচ্চার বলেন, ‘যতটা মনে হয় বৈশ্বিক মধ্যবিত্ত শ্রেণি তার চেয়ে বেশি ক্ষুদ্র, দরিদ্র ও আঞ্চলিকভাবে কেন্দ্রীভূত।’ একই সময়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও খুব একটা কমেনি বলে পিউ রিসার্চের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ২০০১ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭৯ শতাংশ দরিদ্র ছিল, ২০১১ সালে এসে তা কমে হয়েছে ৭১ শতাংশ।
এই এক দশকে যে নয়টি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সবচেয়ে বেশি বিকাশ হয়েছে, এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও ভুটান রয়েছে। ভুটানে এ সময়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ, আর শ্রীলঙ্কায় ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে। এ সময়ে ভুটানে উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি ৬ শতাংশ বেড়েছে।