ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০২:৩৩:৩৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী মদন গোপাল দেব বিগ্রহের মূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধারে মানববন্ধন

| ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২ | Wednesday, May 27, 2015

দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/05/26/29472.php#sthash.TIshqmM2.dpuf দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/05/26/29472.php#sthash.TIshqmM2.dpuf

Search Results

Map of Madhupur

নাটোরের মহারানী শ্রী শ্রী হেমন্ত কুমারীর প্রতিষ্ঠিত মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী মদনগোপাল দেব বিগ্রহের মূল্যবান বৃহৎ সম্পত্তি উদ্ধারে গত সোমবার মধুপুরে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমিদারি প্রথার তৎকালিন সময়ে পুঠিয়া পরগনার অর্ন্তগত টাংগাইলের মধুপুর উপজেলা সদরে ১২৯৮ সনে নাটোরের মহারানী শ্রীমতি হেমন্ত কুমারী দেবী অত্রাঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবাদি পালনের জন্য ৭.২৯ শতাংশ ভূমির উপর শ্রী শ্রী মদন গোপাল দেব বিগ্রহ মন্দিরটি স্থাপন করেন। এবং উল্লেখিত পরিমান জমি মন্দিরের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ করেন। সেই থেকে মন্দিরের বিশাল জায়গায় এ অঞ্চলের হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় সকল উৎসবাদি স্বাচ্ছন্দে পালন হয়ে আসত। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব “গোষ্ঠ যাত্রা” উপলক্ষে প্রতি বছর এখানে মাসাধিককাল ব্যাপী মেলা বসত। যা গোষ্ঠমেলা নামে পরিচিত। এ মেলায় যাত্রা গানসহ বিভিন্ন বিনোদন ( সাকার্স, পুতুল নাচ, হোন্ডা খেলা, ম্যাজিক) উপভোগ্য ছিল। মেলায় সাংসারিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হরেক রকম বাহারী পণ্যের সমাহার থাকায় তা সার্বজনীন ও মধুপুরের ঐতিহ্যে রূপ নেয়। কিন্তু জমিদারী প্রথা বিলুপ্তের পর দেবোত্তর সম্পত্তি হিসাবে সরকারের অবহেলা,পরবর্তীতে কতিপয় স্বাথান্বেষী ব্যক্তি ভূয়া পাওয়ার অব এ্যাটনী/ আমোক্তার নামা কাগজপত্রের কথা বলে ধর্মীয় বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ পরিচালক সেজে মন্দিরটি রক্ষনা বেক্ষনার নামে বিপুল পরিমান মূল্যবান বিষয় সম্পত্তি ভোগ দখল করে। সুদীর্ঘকাল বংশ পর¥পরায় অবৈধ পরিচালক সেজে মন্দিরের কোর উন্নয়ন না করে ও যথাযথ রক্ষনা বেক্ষনা না করে বিভিন্নভাবে তা গ্রাস করে, তিন জেলার কেন্দ্রস্থল মধুপুর শহরের প্রাণ কেদ্রে বিশাল মূলবান সম্পত্তি দখল ও বিক্রি করে দিয়েছে। যেখানে গড়ে উঠেছে বাসা বাড়ী, দোকান পাট, মার্কেট ও বাজার। এখানেই শেষ নয় . আরেক ঐতিহাসিক স্থাপনা শিব মন্দিরটি ৭১ সালে হানাদার বাহিনী কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলার পর তার মূল্যবান কষ্টি পাথরে তৈরী এক মন ওজনের বিশাল শিব লিঙ্গটি সুরক্ষার জন্য রাখা হয়ে ছিল মদন গোপাল মন্দির আঙ্গিনায়। নিরাপদ বেষ্টনীর দু’টি লোহার গেট পরিকল্পিতভাবে রাতে খোলা রেখে পাচারের উদ্দেশ্যে সেটি বিক্রি হয়ে যায়। পাচারকালে এমন একটি শিব লিঙ্গ মাদারীপুর জেলায় ধরা পড়লে ও পত্রিকায় প্রকাশ হলেও (ছবিসহ) উদ্দোগ নিয়ে যাচাই বাছাই করে সেটি উদ্দার করা হয়নি। এবং মন্দিরে থাকা স্বর্নের তৈরী দু’টি মূর্তি উধাও হয়ে যায়, যা চুরি হয়েছে বলে প্রচার দেয়া হয়েছে। মন্দিরের মুল্যবান বিশাল স্থায়ী সম্পত্তি নিজেরা দখল ও একের পর এক বিক্রি করে দিয়ে ধ্বংস করলেও মধুপুর হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ রহস্য জনক কারনে থেকেছে নীরব। ফলে বিঘœ হয়েছে এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবাদি, হারিয়েছে মধুপুরের অন্যতম ঐতিহ্য। ভূয়া পরিচালক. অব্যবস্থা. অবৈধ বানিজ্য বন্ধ, মন্দিরের সম্পত্তি উদ্ধার, রক্ষা ও সুব্যবস্থার বিষয়ে অতীতে অনেকবার গনমাধ্যমে প্রকাশ হলে সুরক্ষার দাবি উঠলেও হিন্দু নেতৃবৃন্দগন রহস্যজনক কারনে কেউ এগিয়ে আসেনি। তথাকথিত মহারথীদের বিরুদ্ধে কেউ কথাবলেনি। অনেকে হয়েছে সুবিধাভোগী। ধীরে ধীরে তাদের মুখোস উন্মোচিত হচ্ছে। দাবী উঠছে সার্বজনীনভাবে মন্দিরটির বিষয় সম্পত্তি উদ্ধার করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার। ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে এ দাবী। তাই সরকরের হস্থক্ষেপ জরুরী। দাবিটি মধুপুরবাসী সবারই।