ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:১৭:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

‘ভারত না ইন্ডিয়া, দেশের নাম কী’ জানতে চাইল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

| ১২ বৈশাখ ১৪২২ | Saturday, April 25, 2015

 

 

 

 

 

 

 

ভারত না ইন্ডিয়া, কোনটি দেশের নাম? কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে জানতে চাইল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের নাম পুনরায় ভারত রাখার আর্জি জানিয়ে দায়ের করা একটি আর্জির ভিত্তিতে জবাব তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত। একটি জনস্বার্থ মামলায় এ ব্যাপারে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধান পরিষদে ভারত নামটাই গৃহীত হয়েছিল।
আর্জিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই বলা হয়েছে, ইন্ডিয়া অর্থাত্ ভারত একাধিক রাজ্যের সমাহার।
মহারাষ্ট্রের সমাজকর্মী নিরঞ্জন ভাটওয়ালের আর্জির ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ নোটিশ জারি করেছে।
ভাটওয়াল তাঁর আর্জিতে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছেও বক্তব্য পেশ করেছিলেন। কিন্তু এতে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
গত নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত ভাটওয়ালকে কেন্দ্রকে বক্তব্য জানাতে বলেছিল। তাতে সন্তুষ্ট না হলে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার অনুমতি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ছমাস অপেক্ষার পরও কোনও ইতিবাচক জবাব না পেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাটওয়াল।
পিটিশনে ভাটওয়াল বলেছেন, ১৯৪৯-এর ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান পরিষদের বৈঠকে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের নামকরণের বিষয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এ বিষয়ে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন নামের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলির মধ্যে ছিল ভারত, হিন্দুস্তান, ভারতভূমি এবং ভারতবর্ষ। দীর্ঘ আলোচনার পর সংবিধান পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হয় যে, ইন্ডিয়া, অর্থাত্ ভারত একাধিক রাজ্যগুলির সমাহার।
খসড়া কমিটির চূড়ান্ত খসড়াতেও একই কথা লেখা হয়। ভাটওয়ালের দাবি, ইন্ডিয়ার বদলে ভারত নামের ব্যবহারেই পরিষ্কার যে, সংবিধান পরিষদ ওই নামেই স্বীকৃতি দিয়েছিল।
নিজের দাবির স্বপক্ষে তিনি হিন্দু পুরানের উল্লেখ করেছেন।