ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৫:০৮:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

ভারতে যেতে ইচ্ছুক ৬০০ জন, ফিরতে চান না কেউ

| ২৯ আষাঢ় ১৪২২ | Monday, July 13, 2015

যৌথ জনগণনায় নাম নিবন্ধনের জন্য ছিটবাসীদের লাইন। ছবিটি শনিবার পঞ্চগড় সদর উপজেলার গারাতি ছিটমহল থেকে তোলা।

যৌথ জনগণনায় নাম নিবন্ধনের জন্য ছিটবাসীদের লাইন। ছবিটি শনিবার পঞ্চগড় সদর উপজেলার গারাতি ছিটমহল থেকে তোলা।

যৌথ জনগণনা সম্পর্কিত জেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের ৩৬টি ছিটমহলে পাঁচ দিন যৌথ জনগণনা হয়েছে। এখানকার ৩৮৯ জন ভারতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।

আর কুড়িগ্রাম জেলার ছিটমহলগুলোতে ছয় দিনের জনগণনায় পাঁচ হাজার ৫৫৫জন নাম নিবন্ধন করেছেন, যাদের ২১১ জন ভারতে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এছাড়াও প্রথমদিকে ভারতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও অনেকে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ভারতে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনগণনার পঞ্চম দিন পর্যন্ত কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতে আবেদন করেননি বলে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির (ভারত) সহসাধারণ সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানিয়েছেন।

যৌথ জনগণনায় নাম নিবন্ধন করছেন গারাতি ছিটমহলের এক বাসিন্দা।

যৌথ জনগণনায় নাম নিবন্ধন করছেন গারাতি ছিটমহলের এক বাসিন্দা।
শাহীন রেজা বলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের তিনটি ছিটমহল থেকে ১৮৯ জন ভারতে যাওয়ার আবেদন করেছেন। বাকি ২০০ জন গণনার প্রথম তিনদিনে ভারতে যাওয়ার আবেদন করেন।

এদিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার গারাতি ছিটমহলের ১৪ জন এবং বোদার নাজিরগঞ্জ দইখাতা ছিটের চারজন ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।

ওই ১৮জন বাংলাদেশে থাকার জন্য শনিবার নতুন করে আবেদন করেছেন বলে জানান শাহীন রেজা।

ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পঞ্চগড়-নীলফামারী জেলার সভাপতি মফিজার রহমান বলেন, “পারিবারিক কলহ, জমিজমার ভাগ পাওয়া না পাওয়াসহ নানা কারণে কেউ কেউ ভারতে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

“এদের অধিকাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ের। তবে এদের মধ্যে কেউ কেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করেছেন।”

গত ৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া জনগণনার কার্যক্রম চলবে আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত।