ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৪৫:১৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ভারতকে হারিয়ে মহিলা এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

| ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ | Sunday, June 10, 2018

কুয়ালালামপুর : মহিলাদের এশিয়া কাপে নতুন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। টানা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ও শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে টি-২০ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
সপ্তম আসরের ফাইনালে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। বল হাতে শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে বাংলাদেশ। ফলে স্কোর বোর্ডে ৩২ রান উঠতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। এমনবস্থায় ভারতের হাল ধরেন অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউর।
কাউর এক প্রান্তের হাল ধরলেও রুমানা ও খাদিজা তুল কুবরার সাথে বাংলাদেশী অন্যান্য বোলারদের তোপে অন্য প্রান্তে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ভারতের ব্যাটসম্যানরা।
শেষ পর্যন্ত কাউরের ৭টি চারে ৪২ বলে ৫৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় ভারত। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান করে করেন মিতালি রাজ ও বেদা কৃষ্ণমুর্তি । বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা-কুবরা ২টি করে এবং সালমা-জাহানারা ১টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১১৩ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ মহিলা দল। দলকে ৩৫ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শারমিন সুলতানা ও আয়শা রহমান। তবে সপ্তম ওভারের শেষ দু’বলে বিদায় নিতে হয় দুই ওপেনারকে। শারমিন ১৯ বলে ১৬ ও আয়শা ২৩ বলে ১৭ রান করেন।
এরপর দলের রান চাকা ঘুড়াতে থাকেন ফারজানা হক ও নিগার সুলতানা। দলীয় ৫৫ রানে ফারজানা নামের পাশে ১১ রান রেখে ফিরে গেলে চতুর্থ উইকেটে দলকে সামনে টেনে নেয়ার দায়িত্ব পান নিগার ও রুমানা।
দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করে যাচ্ছিলেন নিগার ও রুমানা। কিন্তু জুটিতে ২২ বলে ২৮ রান যোগ হবার পরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। দলীয় ৮৩ রানে চতুর্থ ও ৯৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে রুমানার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন পড়েগ ৯ রান।
বল হাতে ইনিংসের শেষ ওভার করতে আসেন ভারতের অধিনায়ক কাউর। প্রথম বল থেকে ১ রান নিয়ে উইকেটে সেট থাকা রুমানাকে স্ট্রাইক দেন লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান সানজিদা। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি ও তৃতীয় বলে ১ রান নিয়ে জয়ের টার্গেট ৩ বলে ৩ বলে নামিয়ে আনেন রুমানা।
তবে চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় নিতে হয় সানজিদাকে। পঞ্চম বলে অহেতুক ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন রুমানা। ফলে শেষ ডেলিভারিতে জয়ের জন্য ২ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নামা জাহানারা আলম ২ রান নিয়ে বাংলাদেশকে শিরোপার স্বাদ দেন। ভারতের পুনম যাদব ৪টি ও কাউর ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের রুমানা আহমেদ। সিরিজ সেরা হন ভারতের কাউর।
লিগ পর্বে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিলো সালমা-রুমানারা। শ্রীলংকার কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিলো বাংলাদেশ। এরপর লিগ পর্বে টানা চার ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে তারা। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচেও জয় তুলে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পড়লো বাংলাদেশ মহিলা দল।