ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৮:৫০:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত গাজায় ইসরাইলের জোর হামলায় ৫৫ জন নিহত : হামাস হিজবুল্লাহ ‘লেবাননকে যুদ্ধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে’: ইসরায়েল সামরিক বাহিনী গাজায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

ব্যর্থ শান্তি আলোচনার পর ইয়েমেনে ব্যাপক সংঘর্ষ নিহত ৮৪

| ২৭ ভাদ্র ১৪২৫ | Tuesday, September 11, 2018

ব্যর্থ শান্তি আলোচনার পর ইয়েমেনে ব্যাপক সংঘর্ষ নিহত ৮৪

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর বন্দর-নগরী হোদাইদাহতে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সেনা ও বিদ্রোহী মিলে অন্তত ৮৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-নগরী হোদাইদাহর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। এই বছরের জুনে সৌদি-আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোট শহরটি পুনর্দখলে নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে।

শনিবারের শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে ৭৩ জন বিদ্রোহী ও ১১ জন সরকারি সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। 

পার্শ্ববর্তী শহর দিজিবুতি আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, সৌদি-আমিরাত জোটের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি। অ্যান্ড্রু সিমনস জানান, একটি সূত্র বলেছে অন্তত ৬০ বার হামলা চালানো হয়েছে। অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ায় পরিস্থিতি বড় ধরনের বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

২০১৫ সালের আগে ইয়েমেনের মানবিক সহায়তার ত্রাণ, খাবার ও জ্বালানির ৭০ শতাংশ আমদানি হতো হোদাইদাহ বন্দর দিয়ে। সৌদি আরব দাবি করে থাকে, হুতিরা এখনো ওই বন্দর দিয়ে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করে থাকে। এসব অর্থ তারা ইরান থেকে অস্ত্র কিনতে ব্যয় করে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘ দাবি পূরণ করছে না এমন অভিযোগ করে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে রওনা দিতে অস্বীকার করে হুতিরা। অন্য দাবির পাশাপাশি তারা আহত সদস্যদের ওমানে নিয়ে যেতে একটি বিমান ও শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়া প্রতিনিধিদের হুতি নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানাতে ফেরত আসতে পারার নিশ্চয়তা চেয়েছিল। 

জুন মাসে হামলা শুরুর পর গত জুলাইতে সৌদি-আমিরাতের জোট জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার শুরুর সুযোগ দিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। -আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আই