ভোপাল ও নয়াদিল্লি: ব্যপম কেলেঙ্কারি নিয়ে ঝড় তুলল কংগ্রেস। একদিকে, রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ রাহুল গাঁধীর, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের পদত্যাগের দাবি তুলল কংগ্রেস কর্মীরা।
ব্যপম ও ললিতকাণ্ডে সংসদে রাহুল গাঁধীর নিশানায় মোদী। ললিত ইস্যুতে কংগ্রেস সহ সভাপতির দাবি, সুষমাকে জেলে যেতেই হবে। একইসঙ্গে ব্যপমকাণ্ডে মোদীর নীরবতা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন রাহুল।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যপম ইস্যুতে কংগ্রেস সহ-সভাপতি বলেন, ৪০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আপনাদের এক বন্ধুও মারা গিয়েছেন। এটা এত বড় কেলেঙ্কারি, অথচ প্রধানমন্ত্রী নীরব। প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। পাশাপাশি, ললিতকাণ্ড নিয়েও এদিন সোচ্চার হন রাহুল। কংগ্রেস সহ-সভাপতির দাবি, সুষমা অপরাধ করেছেন, তাঁকে জেলে যেতেই হবে। তাঁর ইস্তফার আগে কোনও আলোচনা নয়।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস তরফে, সরকারপক্ষকে বিদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করেন বিরোধী দলনেতা আনন্দ শর্মা। যার জেরে বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও দফায় দফায় বিক্ষোভ, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। লোকসভায় কালো কাপড় বেধে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে প্রথম দু’দিনের মতো, বৃহস্পতিবারও দিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন।
অন্যদিকে, ব্যপম বিতর্কের আঁচে ঝলসেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আঙিনা পেরিয়ে ব্যপম কেলেঙ্কারির আঁচ রাজপথে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে কার্যত রণক্ষেত্র বৃষ্টিভেজা ভোপাল। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের গোলা।
একদিকে ব্যপম, অন্যদিকে, ললিত মোদীকাণ্ড। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে, দুর্নীতির এই জোড়া ফলায় বিজেপিকে কোণঠাসা করতে মরিয়া কংগ্রেস। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কংগ্রেসের এই কৌশল কার্যকর হলে চলতি অধিবেশনে আটকে থাকবে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল।
কংগ্রেসের দাবি মেনে নিয়ে যদি দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা পদত্যাগ করেন, তাহলে মুখ পুড়বে বিজেপিরই। ফলে দেশের কাছে তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সহজে প্রতিপন্ন করতে পারবে কংগ্রেস। তাতে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে তারাই। এমনই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের। যদিও, দলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি