ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০১:১৮:২৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬তম বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে : ওবায়দুল কাদের

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন ও সামগ্রিক নিরস্ত্রীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : শেখ হাসিনা

| ৮ আষাঢ় ১৪২৩ | Wednesday, June 22, 2016

সংসদ ভবন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন ও সামগ্রিক নিরস্ত্রীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথাগত অস্ত্র থেকে শুরু করে পারমাণবিক অস্ত্র, জীবাণু অস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্রসহ সকল ধরনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সীমিতকরণে আমরা সব সময়ই সোচ্চার থেকেছি।
তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের ঠিক পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ২৫ এপ্রিলে আমরা রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিটি অনুস্বাক্ষর করি। সে বছরই আমরা এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে জাতীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করি। এরপর থেকেই চুক্তিটির বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন দৃশ্যমান কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ)’র সহায়তায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছি। গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ২০১৬-১৮ মেয়াদে এই রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ যে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দৃশ্যমান ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত এই শীর্ষ সংস্থাটির সদস্যপদ লাভের মধ্য দিয়ে তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে ‘এশিয়ান কেমিক্যাল কংগ্রেস’র ২৬তম আঞ্চলিক সভাটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে রাসায়নিক দ্রব্যাদির নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে ঢাকায় আরও একটি আঞ্চলিক সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের কারণেই আমরা আমাদের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের জীবন হুমকির মুখে রেখেও সাফল্যের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতময় অঞ্চলে সহিংসতা মোকাবেলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার গৌরব অর্জন করেছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনকালে আমাকে অধিবেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাই প্রোফাইল সাইড ইভেন্ট ২০১৫ লিডারস সামিট অন ইউএন পিসকিপিং-এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় দক্ষিণ এশিয়াসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি শান্তির আবাস ভূমিতে পরিণত করার জন্য গভীর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্যে, আমরা পেট্রোলসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যবহার এবং সকল ধরনের অস্ত্র বিস্তার রোধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাব।
শেখ হাসিনা বলেন, পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের যে কোন শুভ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আমরা একযোগে কাজ করে যাব।
বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের এই শান্তিপ্রিয় ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তিনি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।