ঢাকা : বাংলাদেশ সরকার আজ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সাম্প্রতিক অনুমোদিত ও নতুন অথনৈতিক জোনে বিদেশী ও স্থানীয় বিনিযোগ আকৃষ্ট ও উৎপাদনশীল খাতে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির সহায়তা জোরদার করতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বেসরকারী খাতে উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পে (পিএসডিএসপি) অতিরিক্ত অর্থায়ন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। পিএসডিএসপি বিগত দু’বছরে ১৬টি অর্থনৈতিক জোন ও হাইটেক পার্কের অনুমোদন এবং পরবর্তী কয়েক বছরে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে উন্নয়নে ৩৩টি নতুন স্থানের মূল্যায়নে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের এ্যাকটিং কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজাশ্রী পারালকার বলেন, প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের উৎপাদনশীল খাতে অধিক ও উন্নত চাকুরী গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর সুফলও অনেক। যেমন নতুন জোন ব্যবসা শুরু করতে ৮২ শতাংশ সময় হ্রাস করেছে।
তিনি বলেন, শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক ও পরিবেশ উন্নয়নে এবং আগামী ১৫ বছরে সরকার যে ১০০টি শিল্প জোন প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি নিয়েছে এই অর্থায়ন তাতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালী করা এবং দক্ষ জনশক্তি, জমি ও অন্যান্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার জোরদার করতে ৬ষ্ঠ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নতুন অর্থনৈতিক জোন গঠনকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। নতুন অর্থনৈতিক জোন ও হাইটেক পার্ক সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শফিকুল আজম এবং পারালকার বিশ্বব্যাংকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।