গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকার হাটখোলার চৌধুরী মলের ৪র্থ তলায় বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এর প্রধান কার্য্যালয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচর সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ হতে আগত দৈনিক যুগশঙ্খের চীফ এডিটর বিজয় কৃষ্ণনাথ, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিফ রিপোর্টার রক্তিম দাস, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সদস্য গোপাল কৃষ্ণ মন্ডল, বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সহ-সভাপতি টিকে পান্ডে , সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার, বিসি এইচ আর ডির নির্বাহী পরিচালক মহাবুবুল আলম, প্রত্যাশার ইডি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের মহিলা সম্পাদিকা শ্রীমতী কৃষ্ণা ঘোষ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডঃ বাসুদেব গুহ, রঞ্জন মন্ডল, মালতী মন্ডল, গৌতম বাবুসহ বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
সভায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হতে আগত ধর্মীয় সংখ্যালঘু ক্ষতিগ্রস্থদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং সমাধান কল্পে করনীয় কি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সভায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে প্রায় ৫০জন উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন সাভারের কল্যান বিশ্বাস এর মা রীতা রানী বিশ্বাস, রংপুরের রূপলী রানী, চন্দনা রানী, চিটাগং এর বেবী রানী,সোনারগাঁও এর লিটন সাহা ও মুক্তাগাছার রঞ্জন গোস্বমী।
বক্তৃতা কালে বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের প্রেসিডেন্ট অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ বলেন ‘বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে বিভিন্ন তথ্য অবহিত করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান রেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, কোন সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি।
আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যন্ত আপন ভাবে এবং নির্বাচনেও তার প্রভাব দেখেন সকলে। কিন্তু গত ৮/৯ বছরের কর্মকান্ডে সংখ্যালঘুরা হতাশ এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকেই বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করে রবীন্দ্র ঘোষ ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অন্যথায় সরকারেরও বিপদ হবে। কারণ, সংখ্যালঘুদের অবজ্ঞা-অবহেলা করে সভ্য সমাজে বেশীদিন টিকে থাকা যায় না।’ রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, আমরা কোন রাজনীতি করি না। কিংবা ক্ষমতাসীন সরকারকে হেয়-প্রতিপন্ন করি না । আমরা বাহাত্তরের সংবিধানের পুনপ্রতিষ্ঠা চাই এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সরকারের আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চাই।