সর্ব দেবদেবীর পূজা, হোম বা অগ্নি আহূতি দিয়ে গতকাল শুক্রবার মহানবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার বাজবে বিসর্জনের ঢাক ডাকের বোলে রণিত হবে বিদায়ের মূর্ছনা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে আজ শনিবার শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবীপক্ষের শুরু হয়েছিলো। ভক্তের জন্য আনন্দ বার্তা নিয়ে এসেছিলেন দুর্গতিনাশিনী, মহাশক্তির দেবী দূর্গা।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে শহর প্রধান প্রধান সড়কে প্রতিমা বির্সজনের শোভযাত্রা বের হবে। এজন্য প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত অবধি শহরের ৫নং খেয়া ঘাট এলাকাতে শীতলক্ষ্যা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে দুর্গাকে। হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে, দুর্গা এসেছেন এবার নৌকায় করে, যাবেন দোলায় চড়ে।
গতকাল শুক্রবার ভোর সকালে উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে মহানবমীর পূজাও অন্যান্য অনুষ্ঠান। শাস্ত্রমতে সকাল থেকেই ছিল নবমীবিহিত পূজা, চন্ডিপাঠ, সর্ব দেবদেবীর পূজা, হোম বা আহূতি, পুস্পাঞ্জলি। নারায়ণগঞ্জের সবগুলো পূজামন্ডপে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছিল জমজমাট। ভক্তরা পূজা শেষে পূণ্যার্থীরা উপবাস পালন করে দেবী দুর্গার নামে পুস্পাঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নিয়েছেন। প্রতিটি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরতিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। দেবীর দুর্গার কাছে নবমী পূজায় যঞ্জের মাধ্যমে আহুতি দেয়া হয়। পুরাণে বলা রয়েছে, নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়।
এছাড়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মন্দিরে ছিলো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়। সপ্তমীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য ছিলো আলোকসজ্জা, থিম, সাউন্ডসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এবছর জেলায় সর্বমোট ১৮৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে শহর ও বন্দরে মিলে ৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।