ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ২৩:৩৩:৩০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি জামায়াতকে পরিত্যাগ না করলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন কামাল হোসেন আশা তথ্যমন্ত্রীর

| ৩০ পৌষ ১৪২৫ | Sunday, January 13, 2019

ঢাকা: স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে যদি বিএনপি পরিত্যাগ না করে তাহলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আয়োজিত কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন।
‘জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল’ তা স্বীকার করায় কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আমি মনে করব তারা জামায়াতকে পরিত্যাগ করবেন এবং জামায়াতকে যদি বিএনপি পরিত্যাগ না করে তবে কামাল হোসেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, সেটাই আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, তার দলের সংসদ সদস্যদের শপথ না নেয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, সেই ভুল সিদ্ধান্তটিও তিনি পরিবর্তন করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন। বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৪৪টি এবং অন-এয়ারে রয়েছে ৩০টি। অনলাইন গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে এই সরকারের সময়ে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আট কোটি, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারী ৯ কোটি এবং মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে ১৪ কোটি। এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবনে স্বপ্ন থাকতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে। অন্ধ এবং একপেশে সমালোচনা কল্যাণকর হয় না। সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি শেখ হাসিনা চালু করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে একটি পক্ষ পেছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম উত্তম সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মনন বিকাশে এবং পূর্ণবয়স্কদের মনন সঠিক পথে প্রবাহিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক শেখ হাসিনার হাত ধরেই এই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন নিউক্লিয়ার এবং স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য। কুঁড়েঘর এখন ছবিতে দেখা যায়, কবিতায় পড়া যায়, বাস্তবে বাংলাদেশে এখন কোনও কুঁড়েঘর নেই।
তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। অথচ, সাড়ে চার কোটি মানুষ যখন ছিল, তখনই বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি শুরু হয়েছিল। এই সবকিছু সফল হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের ফলে।
এসময় তথ্যমন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীল, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশিদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বেগম কামরুন নাহার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউডের মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন, তথ্য কমিশনার নেপেল চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।