ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০৫:৩৪:৩৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ মনে করছে সিপিডি

| ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ | Saturday, June 9, 2018

ঢাকা : বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে নবীন বাংলাদেশের জন্য প্রবীন বাজেট আখ্যা দিয়ে বাজেটে রাজস্ব আদায়,বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির (জিডিপি)অনুপাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
এজন্য সংস্থাটি আগেভাগেই বাজেট বাস্তবায়নের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বলেছে-রাজস্ব আয় কিভাবে আসবে তার সঠিক কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের দিক থেকে ব্যয়ের ক্ষেত্রে ফলাফলভিত্তিক পরীবিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। যাতে ইস্ফিত লক্ষ্য অর্জন করা যায়।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ এর পর্যালোচনায় সংস্থাটি এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।
সিপিডির পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্ষ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান,গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম,জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
দেবপ্রিয় বলেন,জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জন করতে হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বর্তমান বিনিয়োগের চেয়ে ১১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজির উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে।এটি বাস্তবে করা অনেক কঠিন, এজন্য জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্ষ বলেন, মূলত দুটি দিক থেকে সিপিডি এ বাজেটকে পর্যালোচনা করেছে।এগুলো হলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে নতুন যেসব চাপ অর্থনীতির সামনে আছে সেগুলো মোকাবেলায় বাজেটে দিকনির্দেশনা এবং সম্পদের সুষম বন্টন ও বৈষম্য রোধ করা।
বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বেশ কিছু ভালো-মন্দ দিক চিহ্নিত করেছে সিপিডি।স্বল্পমেয়াদি ভালো দিকের মধ্যে রয়েছে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা,সরকারি বিনিয়োগের অব্যাহত বৃদ্ধি,রফতানি ও প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি,মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ,সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি।স্বল্পমেয়াদি সমস্যার মধ্যে আছে রাজস্ব আদায় বাড়াতে দূর্বলতা,এডিপি বাস্তবায়নের ধীরগতি,কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া,আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ধনীদের সম্পদের ওপর সারচার্জ বাড়ানো,স্থানীয় শিল্পের প্রসারে নীতিসহায়তা, প্রতিবন্ধী হাসপাতালের সুবিধা, গরিবের রুটি-বিস্কুট ও পাদুকার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) তুলে নেয়াকে বাজেটের ভাল দিক বলে মনে করছে সিপিড।তবে সংস্থাটি ব্যাংকের করপোরেট করহার কমানোর সমালোচনা করেছে।
দেবপ্রিয় বলেন,ব্যাংকের করপোরেট কর হার কমানোর সুফল সুদের হার ও তারল্য সংকটের ওপর প্রভাব ফেলবে না।সুতরাং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ কোন কাজে আসবে না।তিনি করপোরেট কর হার কমানোর উদ্যোগ পুন:বিবেচনার সুপারিশ করেন।
সিপিডি মনে করছে-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধি এবং উবার,পাঠাওয়ের মতো রাইড সেবা ও ই-কমার্স ব্যবসার ওপর ভ্যাট আরোপের ফলে তরুণদের উদ্যোগ বাধাঁগ্রস্ত হবে।একই সঙ্গে তা শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ব্যয় বাড়াবে।
নিন্ম মধ্যবিত্তদের ওপর থেকে করচাপ লাঘবে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।
তামাকজাত পণ্য রফতানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক তুলে দেয়ার সমালোচনা করেছে সিপিডি। তারা মনে করছে, এটা করা হলে দেশে তামাক উৎপাদন বাড়বে,যা সরকারের তামাক উৎপাদন বন্ধ করা নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ব্র্যান্ডের পোশাক ও আসবাবের ওপর এবং আমদানিতে উৎসে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মানুষের ব্যয় বাড়বে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও ভাতা বাড়ানো হয়েছে।আবার অনেক ছোট ছোট প্রকল্প আছে যেগুলোকে জনতুষ্টিমূলক বলা যেতে পারে।তবে যেকোন গনতান্ত্রিক সরকার এগুলো করে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন।