নিউজ ডেস্ক :: ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে মতে কমেছে দেশের সাক্ষরতার হার। ব্যুরোর বরাত দিয়ে দেশের সাক্ষরতার হার ৬১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। যা ২০১৪ সালে তার দেয়া হারের চেয়ে ৪ শতাংশ কম।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেছবাহ উল আলম।
গতবছর সাক্ষরতা দিবসে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ সাক্ষর; আর নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা আড়াই কোটি।
আর এবার পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ১০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ সাক্ষর।
১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৭৫ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ সাক্ষর।
১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূল কথা’।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান ফিজার।
২০১০ সালের পর প্রতিবছরই সাক্ষরতার হার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর সব তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সময় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছেন।
ওই বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর তিন বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমীন সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু তার পরের বছরই মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দেশের ৬৫ শতাংশ সাক্ষর বলে তথ্য দেন।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে ফিজার বলেন, দেশে সাত বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ সাক্ষর।
নিরক্ষরতা দূরীকরণে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে সারা দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকরা প্রতি জেলায় চারটি করে এনজিও নির্ধারণ করবেন।”
ফিজার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় বর্তমানে ৭৮ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই উপবৃত্তিধারীদের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখে উন্নীত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ১০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৭৫ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ৭৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এবারে এ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূল কথা’। ওইদিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ৭৮ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। আাগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই উপবৃত্তিধারীদের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখে উন্নীত করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে সারাদেশের ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা দেয়া হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশে জেলা প্রশাসকরা প্রতি জেলায় চারটি করে এনজিও নির্ধারণ করবেন। তাদের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।’