ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:৫১:৫৭

ফ্যাটি লিভারের কারণ কী

| ২১ আশ্বিন ১৪২৪ | Friday, October 6, 2017

 

ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি জমার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিসের মতো জটিলতাও হয়। ফ্যাটি লিভারের কারণ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম শামসুল কবীর। বর্তমানে তিনি হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিসিন ও লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : একজন লোকের লিভারে চর্বি যদি পরিমাণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, সেটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করে। সেটি কীভাবে।

উত্তর : এটা বলার আগে জানতে হবে ফ্যাটি লিভার কেন হয়? সাধারণত একজন মানুষ স্থূল হলেই কিন্তু ফ্যাটি লিভার হবে না। স্বাভাবিক হওয়ার পরেও কিন্তু ফ্যাটি লিভার হতে পারে। এর এক নম্বর কারণ হলো, অতিরিক্ত মদ্যাপান। দ্বিতীয় হলো, কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আরো কোনো মেটাবলিক রোগ থাকে, যেমন : হেপাটাইটিস বি ও সি বলে দুটো জীবাণু রয়েছে এগুলো যখন তাৎক্ষণিকভাবে লিভারে কোনো আঘাত করে তখন হতে পারে। তখন দৃশ্যটা দেখা যায় ফ্যাটি লিভারের মতো।
অনেক সময় নারীরা দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খান। এটিও কিন্তু ফ্যাটি লিভারের কারণ। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। রক্তের মধ্যে ট্রাই গ্লিসারিন হয়ে গেলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।

এখন লিভার যেহেতু বিপাকীয় কাজের প্রধান অঙ্গ, তাই ফ্যাটি লিভার হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। একটি হলো ক্লান্তিভাব। হঠাৎ করে সে খেয়াল করবে শরীর খুব দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে যাচ্ছে, দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একটি পর্যায়ে যদি এটি খারাপের দিকে যায় তাহলে পায়ে পেটে পানি চলে আসে। আবার খুব বেশি খারাপের দিকে গেলে রক্ত বমি হতে পারে, রক্ত পায়খানা হতে পারে। এই সমস্যাগুলো তৈরি না হওয়ার আগে কিন্তু একজন রোগী কখনো চিকিৎসকের কাছে আসেন না।

অসময়ে ঘুম পাওয়া কিন্তু ফ্যাটি লিভারের অন্যতম একটি লক্ষণ। যেসব কারণের কথা বললাম সেগুলো যদি কারো মধ্যে থাকে, আর সে যদি এই লক্ষণগুলো নিজের মধ্যে দেখেন তাহলে তার দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এই জিনিসগুলো যদি কারো মধ্যে থাকে এবং সে যদি এই লক্ষণগুলো নিজের মধ্যে দেখে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।