ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:৩৫:৫৬

প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ কী?

| ২৭ ভাদ্র ১৪২৪ | Monday, September 11, 2017

 

প্রোস্টেট ক্যানসারের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা গেলে সমস্যাটি অনেকটাই নিরাময় হয়। তাই প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণের বিষয়ে জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : প্রোস্টেট কী? এর ক্যানসার হওয়ার পেছনে কারণ কী?

উত্তর : পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট থাকে। সাধারণত মূত্রথলি যে থাকে তার নিচে এর অবস্থান। এটা ফাইব্রোমাসকুলার একটি অঙ্গ। অনেকটা পিরামিড আকৃতির একটি অঙ্গ, নিচে থাকে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রোস্টেট ক্যানসারের কী অবস্থা?

উত্তর : আমাদের অঞ্চলে সাধারণত কম। যুক্তারাষ্ট্রে এটি অন্যতম মৃত্যুর কারণ। পশ্চিমা বিশ্বে প্রোস্টেট ক্যানসার অনেক বেশি।

প্রশ্ন : এর কারণ কী?

উত্তর : এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বের করা যায়নি। সবাই বলে কিছুটা জীবনযাপনের ধরন আছে, অনেকে বলে ফ্যাটি ডায়েটের ইস্যু।

প্রশ্ন : এই ঝুঁকির মধ্যে কারা আছেন?

উত্তর :পারিবারিক বিষয়টিও একটি ব্যাপার। ৫০ বছরের বেশি যাদের বয়স, যারা একটু স্থূলকায়, তাদের মধ্যে আশঙ্কা বেশি। পারিবারিক ইতিহাসে যদি দেখা যায়, বাবার থাকলে, ছেলের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি ভাইয়ের থাকলে আরেক ভাইয়ের হতে পারে। এমনও দেখা গেছে দুই ভাইয়ের একই সঙ্গে হয়েছে।

প্রশ্ন : প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ কী?

উত্তর : রাতের বেলা দেখা যাচ্ছে বার বার উঠে প্রস্রাব করতে যাচ্ছে। বার বার টয়লেটে যাচ্ছে। এরপর দেখা যাচ্ছে, তার করার সময় ব্যথা করছে বা প্রস্রাবে রক্ত যাচ্ছে অথবা ব্যথা করছে। তবে রোগটি যখন আরেকটু বেড়ে যায়, তখন বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা যায়। তখন আরো কিছু উপসর্গ দেখা যায়। তবে প্রধান উপসর্গ এগুলোই। অনেক সময় ওজনও কমতে পারে।

প্রশ্ন : এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে আপনাদের কাছে এলে কীভাবে পরীক্ষা করেন?

উত্তর : সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসারের রোগীগুলো আমাদের কাছে কম আসে। সাধারণত ইউরোলজিস্টের কাছে আসে। আগে জেনারেল সার্জনের কাছে আসত। এখনো ঢাকার বাইরে অনেক জায়গাতে জেনারেল সার্জনের কাছে আসে। প্রোস্টেট ক্যানসারেরও এই ধরনের উপসর্গ আসলে খুব দ্রুত ধরা যায়। এটি পার রেক্টাল এক্সামিনেশন করে খুব সহজে ধরা যায়। এর জন্য খুব বেশি কিছু করা দরকার নেই। আবার আল্ট্রাসোনো করে বায়োপসি যদি করা হয়, তাহলে খুব সহজে এটি নির্ণয় করা সম্ভব। জটিল কিছু নয়, কঠিন কিছু নয়।

প্রশ্ন : এর স্টেজিং বা গ্রেডিংটা আপনারা কিসের ওপর নির্ভর করে করেন ? কখন এলে প্রাথমিকভাবে ধরা সম্ভব?

উত্তর : এই ধরনের উপসর্গ তৈরি হলে চিকিৎসকের কাছে গেলেই আমরা পিএসএ পরীক্ষা করতে দেই। প্রোস্টেটিক স্পেসেফিক এনটিজেন আমরা করতে দেই বা আরো কিছু আল্ট্রাসোনো করতে দেই বা রেক্টাল এক্সামিনেশন করি। এ রকম সমস্যা যখন তৈরি হয়, তখন যদি রোগীরা চিকিৎসকের কাছে চলে আসে, তাহলে কিন্তু একেবারে প্রথম দিকে ধরা যায়। তবে রোগীরা যদি পরে আসে তখন কিন্তু হাড়ে চলে যায়; ভার্টিব্রাতে, মেরুদণ্ডের কশেরুকাতে চলে যায়। তখন কিন্তু চিকিৎসা করা একটু কঠিন।