ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৬:৫৩:৩১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত গাজায় ইসরাইলের জোর হামলায় ৫৫ জন নিহত : হামাস হিজবুল্লাহ ‘লেবাননকে যুদ্ধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে’: ইসরায়েল সামরিক বাহিনী গাজায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর

| ২২ পৌষ ১৪২১ | Monday, January 5, 2015


বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একটি সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে বের হওয়ার সময় বাইরে থাকা যুবলীগকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন।

সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং নিজের কার্যালয়ে দলীয় চেয়ারপারসন কার্যত অবরুদ্ধ থাকার মধ্যে সোমবার প্রেসক্লাবে বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে আসেন বিএনপির মুখপাত্র।

ঢাকায় সভা-সমাবেশে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, যার আহ্বায়ক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী।

সমাবেশের পর ফখরুল, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানসহ কয়েকজন প্রেসক্লাবের ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে বাইরে অবস্থানরত সরকার সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ ও ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখন ফখরুলসহ বিরোধী নেতারা আবার প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

প্রেসক্লাবের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন সরকার সমর্থকরা

এরপর মাথায় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের পট্টি লাগানো একদল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থানরত বিএনপি সমর্থকদের ওপর চড়াও হলে মারামারি বেঁধে যায়।

প্রায় ১৫ মিনিট ধরে মারামারির পর ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসক্লাব শুধু সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্থান। এখানে রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে যারা এসেছেন, তাদের চলে যেতে অনুরোধ করছি।

“প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে বলছি, আপনারা অবিলম্বে রাজনৈতিক নেতাদের বের করে দিন। অন্যথায় আমরা সারারাত বাইরে অবস্থান করব।”

প্রেসক্লাব থেকে বের হচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রেসক্লাব থেকে বের হচ্ছেন মির্জা ফখরুল

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি কয়েক বছর ধরে বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে। ফখরুলসহ বিরোধী নেতারা প্রেসক্লাবের ভেতরে সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে অবস্থান নিয়ে আছেন।

বিএফইউজের একাংশের সভাপতি বুলবুল বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব একটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখানে প্রেস ব্রিফিং করতে পারেন। তবে তার নেতৃত্বে শতশত দলীয় কর্মী প্রেসক্লাব দখলের চেষ্টা করতে পারেন না।”

এরপর ইকবাল সোবহান ও বুলবুলসহ সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য ভেতরে ঢোকেন।

আলোচনা করে বেরিয়ে এসে ইকবাল সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম একজন জাতীয় নেতা। তিনি প্রেসক্লাবে আসতে পারেন। তবে অন্য যে রাজনৈতিক কর্মীরা প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়েছে, তাদের বের করার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে।