ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৩৮:১৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

প্রেমের টানে রাজপরিচয় ছাড়লেন জাপানি রাজকন্যা

| ১৫ কার্তিক ১৪২৫ | Tuesday, October 30, 2018

যাকে ভালোবাসেন, তাকেই বিয়ে করবেন রাজকন্যা। কিন্তু প্রেমিক যে কোনো রাজপুত্র নন। সামান্য এক ব্যবসায়ী। তাকে বিয়ে করতে হলে রাজপরিচয় ছাড়তে হবে; বেছে নিতে হবে যে কোনো একটি। এটাই রাজপরিবারের নিয়ম।

তাই রাজপরিচয়ের বদলে ভালোবাসাকেই বেছে নিলেন জাপানের রাজকন্যা আয়াকো। বিয়ে করলেন প্রেমিক কেই মোরিয়াকে।

২৮ বছর বয়সী প্রিন্সেস আয়াকো প্রিন্সেস হিসাকো এবং মৃত প্রিন্স তাকামোডোর সবচেয়ে ছোট সন্তান। প্রিন্স টাকামোডো বর্তমান সম্রাট আকিহিতোর চাচাতো ভাই। অন্যদিকে ৩২ বছর বয়সী মোরিয়া নিপ্পন ইউসেন কেকে শিপিং কোম্পানির কর্মকর্তাদের একজন।

আয়াকো ও মোরিয়ার বিয়ে হয়েছে সোমবার টোকিওর মেইজি মন্দিরে। মন্দিরটির গুরুত্ব এই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনেক বেশি। ১৯২০ সালে মেইজি মন্দির আয়াকোর দাদার বাবা সম্রাট মেইজি ও তার স্ত্রী সম্রাজ্ঞী শোকেনের বিদেহী আত্মাকে উৎসর্গ করে সবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল।জাপান-রাজকন্যা-রাজপরিবার

এই মন্দিরেই ছোট পারিবারিক অনুষ্ঠানে শুধু পরিবারের নিকটাত্মীয়দের নিয়ে বিয়ে হয় এই দম্পতির। অবশ্য মন্দিরের বাইরে এক হাজারেরও বেশি শুভাকাঙ্ক্ষী অপেক্ষা করেছিলেন প্রিন্সেস আয়াকো আর তার সঙ্গী কেই মোরিয়াকে এক নজর দেখার জন্য। মন্দিরে ঢোকার সময় তারা নবদম্পতিকে অভিনন্দন জানান এবং ‘বানজাই’ বলে তাদের দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।

জাপানি রাজ-আইন অনুসারে, রাজপরিবারের কোনো নারী সদস্য যদি এমন কাউকে বিয়ে করেন – যিনি কোনো রাজপরিবার বা অভিজাত পরিচয়ের পরিবারের সদস্য নন, একজন সাধারণ নাগরিক, তবে ওই নারী সদস্য রাজপরিচয় হারাবেন।

এই আইন অবশ্য জাপানি রাজপরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রিন্সেস আয়াকো কেই মোরিয়াকে বিয়ে করার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজপরিচয় ত্যাগ করেছেন।জাপান-রাজকন্যা-রাজপরিবার

রাজপরিচয় না থাকায় এখন আর তিনি রাজকন্যা হিসেবে কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেন না। এমনকি রাজকন্যার জন্য নিয়মিত অর্থবরাদ্দও বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে আয়াকো যেন নিজের উচ্চ জীবনমান ধরে রাখতে পারেন, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে এককালীন সাড়ে ৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে। এর বেশি আর কিছু পাবেন না তিনি।

আকিহিতোর শাসনামলে এটা রাজপরিচয় ত্যাগের দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে সম্রাট আকিহিতোর নিজের নাতনি প্রিন্সেস মাকো রাজপরিবারের বাইরে গিয়ে একজন সাধারণ নাগরিককে বিয়ের ঘোষণা দেন। আকিহিতোর কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি।

জাপান-রাজকন্যা-রাজপরিবার

সঙ্গী কেই কোমুরোর সঙ্গে প্রিন্সেস মাকো

মাকোর পর প্রিন্সেস আয়াকোর রাজপরিচয় ত্যাগ রাজপরিবারের সদস্যদের সাধারণ নাগরিক বিয়ের বিষয়ে রাজ-আইনে বৈষম্যের বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালল।