ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:১৮:৪৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

প্রধান বিচারপতিআমিন আহমেদের মতো ব্যক্তিত্ব আজ বিরল প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা

| ৯ ভাদ্র ১৪২২ | Monday, August 24, 2015

পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি আমিন আহমেদের স্মরণসভায় সুপ্রিম কোর্টের অধিকাংশ বিচারপতি ও আইনজীবী না আসায় মর্মাহত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা। তিনি বলেছেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি আমিন আহমেদের অনেক বিখ্যাত রায় আমাদের কাছে অনূকরণীয়। তাঁর দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব ও ন্যায়পরায়ণতা ছিল, যা আজ বিরল। কিছু কিছু বিষয়ে তাঁর দেওয়া রায় ভালোভাবে পড়লে একজন বিচারক বা আইনজীবীর আর কোনো আইনের বই পড়ার প্রয়োজন হবে না।’

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক ও মরহুমের ছোট মেয়ে জেরিনা হোসেন বক্তব্য দেন। বিচারপতি আমিন আহমেদের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক বিতরণ ও দোয়া মাহফিল হয়। আমিন আহমেদ স্মৃতি ট্রাস্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে তিন বছরে (২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সাল) প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী তিনজনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। বিচারপতি আমিন আহমেদ ১৮৯৯ সালে ফেনীর আহমদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে তিনি ১৯২৯ সালে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারক হন তিনি। ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৫৯ সালে তিনি অবসরে যান। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর ইন্তেকালের আগে তিনি আমিন আহমেদ স্মৃতি ট্রাস্ট করে তাঁর সব সম্পদ তাতে দান করেন।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ‘বিচারপতি আমিন আহমেদের জীবন, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ আমাদের সবার কাছে অনুকরণীয়। তিনি অনেক স্মরণীয় রায় দিয়েছেন, যা তাঁকে আমাদের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখেছে।’

বিচারপতি এ টি এম আফজাল বলেন, বিচারব্যবস্থার জন্য তাঁর অনন্য অবদান রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের গোড়াপত্তনে যে কজন অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিচারপতি আমিন আহমেদ। তিনি শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে তাঁর সম্পদ বিতরণ করেছেন। বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, বিচারকদের যদি নৈতিক গ্রাউন্ড না থাকে, তাহলে ন্যায়বিচার করতে পারেন না। আমিন আহমেদ একজন নৈতিকতাসম্পন্ন বিচারক ছিলেন। তিনি সরকারের অন্যায় আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তাঁর জীবন ছিল অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারী ফেরদৌসি রহমান, ২০১২ সালের জন্য মো. আবু সাঈদ এবং ২০১৩ সালের জন্য মো. আহসান হাবীবের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন প্রধান বিচারপতি।