ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:১১:৫৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি ইম্পোজিং: মহানগর যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

| ২৮ ভাদ্র ১৪২২ | Saturday, September 12, 2015

000

নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সুপার ইম্পোজিং করে প্রতারণার অভিযোগে বহিস্কার হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদার রহমান মাকুসদ। প্রতারনার বিষয়টি সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে ধরা পড়ে। এরপর পত্রপত্রিকায়  এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ মহানগর যুবলীগের এই নেতাকে বহিস্কার করেছে।

মাকসুদার রহমান মাকসুদ ওই ছবি তার ফেসবুক পেজে আপলোড করেছেন। ফেসবুকে থাকা ওই ছবি ৪৩টি শেয়ার হয়েছে। লাইক এবং কমেন্টও রয়েছে অনেক। সুপার ইম্পোজিং করা ছবি দিয়ে পোস্টারিং করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও অবহিত। তারা এ নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

জানা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ। তিনি আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সঙ্গে নিজের একটি ছবি সুপার ইম্পোজিং করে ফেসবুকে আপলোড করেন। ফেসবুকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ছবিটি আপলোড করেন ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। ছবির বিবরণে লেখা হয়েছে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তভাবে ঢাকা সিটি যুবলীগ সাউথের অর্গানাইজিং সেক. মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।’

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে মতিয়া চৌধুরী ও বাম পাশে কালো সানগ্লাস পরিহিত মাকসুদ। ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে তার পোজ ও ভঙ্গিমা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য সম্মানহানিকর। ছবিতে তার পেছনে বর্তমান চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।

আইটি বিশেষজ্ঞরাও ছবিটি দেখে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি সুপার ইম্পোজিং করা ছবি। যে স্থানে মাকসুদের ছবি সেখানে সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত অন্য কোনো নেতার ছবি ছিল। যা সরিয়ে মাকসুদের ছবি বসানো হয়েছে। সিআইডি ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছবিটি সুপার ইম্পোজিং করা বলে নিশ্চিত হয়েছেন।

সিআইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইমেজ বিশ্লেষক জানান, ছবিটিতে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের ছবিতে এক ফ্ল্যাশ আর মাকসুদের ছবিতে আলাদা ফ্ল্যাশ রয়েছে। দুটি ছবি তুলতে ক্যামেরার দূরুত্বও ছিল ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের ছবিটি মাকসুদের ছবির চাইতে চার থেকে ৫ ফুট দূর থেকে তোলা। ছবির রেজুলেশনসহ অন্য আনুষঙ্গিক বিষয়েও পার্থক্য রয়েছে। সিআইডির অপর এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হয়।

মাকসুদের আপলোড করা ছবিতে তার ফেসবুক ফ্রেন্ড এমআর মামুন কমেন্টে লিখেছেন ‘হে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা আপনি গর্জে উঠুন সংগ্রাম-সংকটে দ্রোহে-জাগরণে, যড়যন্ত্র আপনাকে পারবে না কখনোই মুছে দিতে, সেই অবিনাশী নাম যুব রাজনীতির অহংকার, যুববন্ধু জনাব মাকসুদুর রহমান ভাইয়ের নাম। মুহাম্মদ কামাল হোসেন লেখেন, ‘মতিয়া আপা কি ভয় পাইলোরে মাকসুদ?’