ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:১৯:৫৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির দায়ে ব্যবসায়ীর ৭ বছর সাজা

| ২৬ পৌষ ১৪২৫ | Wednesday, January 9, 2019

 

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করায় ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে মোহাম্মদ মনির নামের এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামশ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আসামি মনিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এ ছাড়া রায়ে আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রত নামের দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ রায় ঘোষণার আগে আসামি মনির ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

টাঈাইলের নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর বাজারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরের মনির টেলিকম নামের একটি দোকান ছিল। সেখানে থেকে তিনি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছবি বিকৃতি করে বিভিন্ন মোবাইলে দিতেন বলে মামলার অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর রৌহান গ্রামের আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা অশ্লীল ছবি বিভিন্নজনকে দেখাতে থাকেন। গোপন সংবাদ পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আলমগীর জানান যে, তিনি এই ছবিগুলো নাগরপুরের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রত ও প্রভাব চন্দ্র সরকার।

২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির ও শীল সুব্রতের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রভাত চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দেন। মামলায় বিচারকালে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।