ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর- এই প্রথমবারের মতো ঈদুল আযহায় রাজধানীতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করেছে সরকার। এতে কোরবানীর পর রাজধানী ঢাকা থাকবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণু সংক্রমণ মুক্ত। নতুন এ ব্যবস্থাপনাকে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী।
পশুর রক্ত ও বর্জ থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ এড়াতে এবং পরিবেশ দুষণ রোধ করতে পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪’শ ৯৩টি স্থান। এর মধ্যে উত্তরে থাকছে ২’শ ৮টি এবং দক্ষিণে ২’শ ৮৫টি স্থান। সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নির্দিষ্ট কিছু সড়ক, মাঠ ও স্কুলের সামনের প্রাঙ্গণ পরিস্কার করে পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা বলেন, “এখন যে সিস্টেমটা হইছে যে আমরা এক জায়গায় একটি নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করবো এবং এখান থেকে যে বর্জ্যগুলো থাকবে এগুলো আমরা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলবো ”
পশু জবাইয়ের জন্য থাকবেন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার ছাত্র এবং কসাই। পরিচ্ছন্নতার জন্য থাকবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী। নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেন, “সবাই নিজেদের বাসাবাড়িতে করে। এবার সরকার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যটা শতভাগ সফল করার জন্য একটু সময় লাগবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর বলেন, “আমরা বিভিন্ন মাঠে গর্ত করে দিবো। পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাওডার দিবো।”
নতুন এ পদ্ধতিতে সহায়তার অঙ্গীকার করে এলাকাবাসী বলেন, “এলাকার লোকজন আমরা স্বতস্ফূর্তভাবে সহায়তা করবো। এতে যেমন নগর দূষণ হবে না। সাধারন জনগণ এতে সহযোগিতা করবে।”
ঈদের ৩/৪দিন আগে থেকে এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এবং মসজিদ থেকে জনগণকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/56554#sthash.Dx5VzJVA.dpuf