ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:২৪:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসুন : প্রধানমন্ত্রী

| ১৮ চৈত্র ১৪২৪ | Sunday, April 1, 2018

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও ভালোবাসা দিয়ে গড়েতোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।’ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ২এপ্রিল ১১তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রতিবন্ধী নারী ও বালিকারা কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা গ্রহণে পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সুবিধা বঞ্চিত হন। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী নারী ও বালিকারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় থাকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারী ও বালিকাদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করেছি।’ এ সকল কর্মসূচি গ্রহণের ফলে অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। ‘তাঁর (সায়মা ওয়াজেদের) পরামর্শে আওয়ামী লীগ সরকার অটিস্টিক শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবাপ্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যতœদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অভ্ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (আইপিএনএ) স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। দেশের ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্রের মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্য শনাক্তকরণ, কাউন্সিলিংওথেরাপিসেবাপ্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।