প্রতারণা ও জালিয়াতির বেসরকারি মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ধারা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন এ সংক্রান্ত মামলাগুলো যাবে পুলিশের কাছে। তবে সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাগুলো দুদক আইনে তদন্ত ও বিচার হবে।আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দুদক (সংশোধন) আইন-২০১৫ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঞয়া জানান, দুদক আইনে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলাগুলো অন্তর্ভুক্ত করায় দুই ধরনের বাস্তব সমস্যার সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার প্রতারণা মামলা দুদক আইনে দায়ের হওয়ায় সেগুলোর নিষ্পত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া দুদক আইনে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলা অন্তর্ভুক্ত থাকায় পুলিশ এ ধরনের মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে এ ধরনের মামলার স্তূপ জমে যায়, বিচার নিষ্পত্তিতে বেশ বিলম্ব ঘটে।সচিব জানান, দুদক আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর বিচার বিশেষ জজ আদালতে হওয়ায় এগুলো নিষ্পত্তিতে বেশ সময় লাগছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করে। এরপর আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সচিব জানান, বেসরকারি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলাগুলো দুদক আইন থেকে বিযুক্ত করা হলেও সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতির মামলা এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাগুলো দুদক আইনেই বিচার হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতির বিদ্যমান মামলাগুলোর বিচার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই বিশেষ আদালত থেকে বিচারিক আদালতে হস্তান্তর করা হবে এবং ওই অবস্থা থেকেই বিচার শুরু হবে। আবার একই ভাবে মামলার তদন্ত যে পর্যায়ে ছিল সেই পর্যায়েই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে দুদক আইনে প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানের পর্যায়ে যেসব মামলা ছিল সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্পত্তি হবে। অভিযোগকারী নতুন করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।