ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:৫৯:২৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

পুলিশকে থামান, সরকারকে বৌদ্ধ নেতারা

| ৯ আষাঢ় ১৪২৩ | Thursday, June 23, 2016

ঢাকা : ১৪ দলের বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরেছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা। তারা বলেন, ‘সম্প্রতি গুপ্ত হত্যায় যেমন আমরা ভীত, তেমনি সাঁড়াশি অভিযানের নামে পুলিশের নির্যাতনেও আমরা ভীত।’

বুধবার (২২ জুন) বিকেলে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সঙ্গে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা হয়। এ বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে ধরেন বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক অসীম রঞ্জন বড়ুয়া।নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমি বলবো, আমরা আসলেই ভীত। সম্প্রতি গুপ্ত হত্যায় যেমন আমরা ভীত, তেমনি সাঁড়াশি অভিজানের নামে পুলিশের নির্যাতনেও আমরা ভীত।’তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমাদের সংগঠনের দু’জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করেছে। পরে আমাদের সংগঠনের নেতারা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়িয়ে এনেছে। আমি আপনাদের বলছি পুলিশকে থামান।’

এ সময় সামনে বসে থাকা ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বৈঠকে বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, ‘এ দেশ মাটি আপনার-আমার, আমরা এদেশে জন্ম গ্রহণ করেছি, তাহলে কেন ভয় পাবেন? আঘাত করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভয়কে জয় করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।’

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যাদের বিচার হচ্ছে, এই বিচার কার্য ব্যাহত করতে এই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে মানুষ খুন করে ক্ষমতায় যেতে চায় বলেও অভিযোগ করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতার লিপ্সায় গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে। সাড়াঁশি অভিযানে অনেক জঙ্গি ধরা পড়ছে। বিএনপি বুঝতে পেরেছে গুপ্ত হত্যার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা (বিএনপি) এখন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছেন।’

বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাম্যবাদী দরের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টি (জেপির) প্রেসিডিয়াম মেম্বার সালাহ উদ্দিন, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, কমিউনিষ্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হিওবাট গোমেজ, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়ুয়া, খ্রিষ্টান সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রলয় বাপ্পি।