নিউজডেস্ক :: সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ায় পাকিস্তানকে একটা ভালো সবক দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব নজরুল ইসলামকে এবিষয়ে নির্দেশনা দেন। তিনি সচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, তারা কিভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালো তার ব্যাখ্যা চাইতে হবে এবং এর প্রতিবাদ করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি গত শনিবার মধ্যরাতে কার্যকর করা হয়।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে রবিবার বিবৃতি দেওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সুজা আলমকে তলব করেছে।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমানের কাছে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেইদিন (শনিবার) ফাঁসির আগে সাকা ও মুজাহিদের পরিবারের কান্নাকাটি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমগুলোতে বারবার দেখানো হয়েছে কিন্তু একাত্তর সালে এসব ঘৃণিত অপরাধীরা হত্যা,
ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো যে মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো করেছে সেগুলোর ফাইল ফুটেজ তো কোনও চ্যানেলকে দেখাতে দেখা যায়নি’। তিনি বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘এসব কি তারা ইচ্ছা করে করেছে?’
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসিকে একটি মহল জোড়াখুন হিসেবে অভিহিত করার চেষ্টা করেছে এমন তথ্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে একাধিক মন্ত্রী এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন তারা এ ঘটনাকে জোড়া খুন বলতে চায় কিন্তু জিয়াউর রহমানের শাসনামলে যে প্রতি রাতে ২০ থেকে ৪০ জনকে ফাঁসি দেওয়া হতো তার কথা তারা বলেন না কেন?’