ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১১:৪৯:৪৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

পাংশায় বয়স্ক ভাতার কার্ড মেলেনি ১০৮ বছর বয়সের গণেশ সাধুর

| ২১ শ্রাবণ ১৪২২ | Wednesday, August 5, 2015

Vatajpg_2015-08-04_16 21 16

পাংশার কলিমহর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের মাশালিয়া গ্রামের  গনেশ সাধু সরকারের বয়স ১০৮ বছর। বয়সে ভারে ক্লান্ত গণেশ সাধু স্ত্রী বাসনাকে নিয়ে চরম অসহায় ভাবে ভিক্ষা করে চলছে তাদের জীবন। আজও তার নামে সরকারী ভাবে রবাদ্দ হয়নি কোন বয়স্ক ভাতার কার্ড।

আলাপকালে তিনি জানান তার বাড়ী ছিল পাবনাতে। প্রায় ২৫/২৬ বছর আগে নিজের জন্ম ভূমি পাবনা ছেড়ে তিনি  শূন্য হাতে পাংশার বাবুপাড়া ইউপির ডাকুরিয়া শ্বশানে আশ্রায় গ্রহন করেন। বর্তমানে তিনি পাংশার কলিমহর ইউপির মাশালিয়া সার্বজনিন কালিমন্দিরের পাশে ছোট্র একটি ঝুপরি চাপড়া  ঘর করে স্ত্রী বাসনাকে নিয়ে কোন রকম ভাবে বসবাস করছে। এরই মধ্যে স্ত্রী বাসনা নিয়ে কোন রকম ভাবে জীবন যাপন করছে।  গনেশ সাধুর ১ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। তাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তার নিজেরদের ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ছেলে-মেয়ে তাদের কোন প্রকার খোঁজ খবর পর্যন্ত নেয় না। বয়সের ভারে নুহে পরছে, কখন বুঝি তার পরকালের ডাক এসে যায়। স্ত্রী বাসনার হাত ধরে হাট বাজারে গ্রামে গ্রামে বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করে যা পায় তাই দিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে কোন বয়স্ক ভাতা, ভিজিডির বয়স্ক  কার্ড পাওয়া গেছে কিনা এ ব্যপারে গনেশ সাধুর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান ইউপির পরিষদের চেয়ারম্যন ও মেম্বরদের কাছে আমার  অথবা আমার স্ত্রীর একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার জন্য অনেকবার বলেছি  কিন্তু তারা আমার অথবা আমার স্ত্রীর নামে কোন কার্ড করে দেয়নি।

সরকারী হিসাবে পুরুষের বয়স ৬৫ বছর এবং মহিলা ক্ষেত্রে ৬২ বছর বয়স অতিক্রম করলেই এবং কর্মক্ষমহীন, অসহায় ,গরীব দুঃস্থ্য বলে বিবেচিত হলে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার কার্ড অথবা ভিজিডির কার্ড  প্রাপ্য হন। কিন্তু পাংশার কলিমহর ইউপির জনপ্রতিনিধিদের চোখে ধরা পড়লো না (১০৮) বছরের গনেশ সরকার সাধু ও তার স্ত্রী বাসনার (৬৪) অসহায়ত্ব।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিগত বছর গুলিতে কলিমহর ইউপির বয়স্ক ভাতার কার্ড ও ভিজিডির কার্ডের সংখ্যা খুবই সীমিত আকারে বরাদ্দ হওয়ায় এবং রাজনৈতিক দলাদলির করনে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান এ্যডঃ আক্কাছ আলী ঢাকায় অবস্থান করায় গনেশ সাধুর নামে কোন বয়স্ক কার্ড বা ভিজিডির কার্ড দেওয়া সম্ভব হয় নি। তবে তিনি জানান পরিষদের পক্ষ হতে খুব তাড়াতাড়ীর গনেশ সাধুর নামে বয়স্ক কার্ড বা ভিজিডির কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থ্যা করা হবে।