ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৬:০৭:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

পাঁচ হত্যাকাণ্ডের ধরন প্রায় একই

| ১৫ ভাদ্র ১৪২১ | Saturday, August 30, 2014

as.jpg

একের পর এক ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটছে। ঘরের ভেতর ঢুকে ক্ষুদ্রাস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে কিলিং মিশন শেষ করে পালিয়ে যাচ্ছে খুনিরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়া এবং হত্যার আলামত আড়াল করতে তারা নিচ্ছে নানা কৌশল। হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছে না তারা। অনেক ঘটনায় অতিথি সেজে বাসায় প্রবেশ করছে খুনিরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মগবাজারের বাসায় ঢুকে তিনজনকে হত্যা করা হয়। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই বুধবার রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় চ্যানেল আইয়ের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। গত বছর উত্তরায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকেও একইভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের পরিসংখ্যানও বলছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। গত জুলাই মাসে সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪০৬টি। জুন মাসে এই সংখ্যা ছিল ৩৯২টি। জুন মাসে শুধু রাজধানীতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২৬টি। জুলাই মাসেও ২৬টি। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৯টি। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬টি। জানুয়ারিতে ১৯টি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষও। সংশ্লিষ্টরা
বলছেন, আগের অনেক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় একই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। গত বছর রাজধানীর গোপীবাগে সিক্স মার্ডার, মিরপুরে ব্লগার রাজীব হায়দার ও উত্তরায় দলছুট জেএমবির কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসা রাশিদুল ইসলাম ও বগুড়ার একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফারুকীর কিলিংয়ের ধরনের মিল রয়েছে। এ সব হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা  বলেছেন, পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ধরন এক হলেও নেপথ্য কুশীলবদের গ্রেফতার করা যায়নি।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল  বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘরের ভেতর গিয়ে খুনের যে ঘটনা ঘটছে, তা বিচ্ছিন্ন। তবে ফারুকীকে হত্যার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। শিগগিরই তা উন্মোচন হবে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল জিয়াউল আহসান সমকালকে বলেন, আদর্শিক বিরোধের জের ধরে ফারুকীকে হত্যা করা হতে পারে। হত্যার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, উগ্রবাদী কোনো গোষ্ঠী এই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এর আগে গোপীবাগের সিক্স মার্ডারসহ আরও অন্তত পাঁচটি হত্যার ঘটনার ধরন একই।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সমকালকে বলেন, ২০১৩ সালে গোপীবাগে সিক্স মার্ডারের ঘটনায় এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। ওই হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত, আর্থিক বিরোধ ছিল_ এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আদর্শিক দ্বন্দ্ব থেকেই উগ্রপন্থিরা তাকে খুন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।