ঢাকা, মার্চ ১৯, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৪:৫১:২১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

পলাশবাড়ীর দুলাল ঠাকুরের বিরুদ্ধে দেব প্রতিমার প্রতি অসন্মানের অভিযোগ:বিচারের দাবীতে ফেইসবুকে তুলপার।

| ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ | Saturday, May 26, 2018

Image may contain: 2 people, people standing

কিশোরগঞ্জ সদর সতাল এলাকায় মহনলাল বনিকের বিরুদ্ধে তার বাড়িতে স্থাপিত মন্দিরে কয়েক বছর যাবৎ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার করতোয়া পাড়া গ্রামের দুলাল ঠাকুরকে এনে শ্রী শ্রী মহাদেব ও শ্রী শ্রী কালি মাতার প্রতিমার উপরে উঠিয়ে নাচগান করানোর অভিযোগ উঠেছে । অতিতে এবং বর্তমানে দুলাল ঠাকুরকে দিয়ে এলাকায় তেলেসমাতি ঘটনা ঘটিয়ে ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি করে  তারা দুজনেই কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছেন বলে এলাকা বাসীর সূত্রে জানা যায় ।তারই ফলশ্রুতিতে গত ২০/০৪/২০১৮ইং  তারিখ রোজ শুক্রবার দুলালকে দিয়ে একই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রিওর কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি বিজয় সরকার। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন মহন লাল বনিক পলাশবাড়ী দুলাল ঠাকুরকে দিয়ে মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত প্রতিমার উপরে উঠিয়ে পাদিয়ে পাড়িয়ে সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধ আচরন করেছেন এবং আমাদের সপ্রদায়ের  ধর্মীয়অনুভূতিতে চরম ভাবে আঘাত হেনেছেন যা কোন ভাবেই সজ্য করার নয়। আমরা অভিলম্বে এই দুই অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করতে প্রসাশনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ফ্যাসবুকসহ বিভিন্ন্ মাধ্যমে স্বৌচার আছেন অনেকেই। এমনকি উপরোক্ত ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফ্যাসবুকে। তাইসত্য ঘটনা অনুসন্ধানে ভিডিওটি দেখতে এই লিঙ্কে  দেখুন।

https://web.facebook.com/palash.nath2/videos/2179899378701965/

https://web.facebook.com/palash.nath2/videos/2179899005368669

ফ্যাসবুকে পলাশনাথ নামে একজন তুলে ধরেছেন দুলাল সাহার দুলাল ঠাকুর হয়ে উঠার গল্প।

গাইবান্ধা জেলা পলাশবাড়ী থানার করতোয়া পাড়া গ্রামের অতি দরিদ্য পরিবারে শ্রী দুলাল চন্দ্র সাহা জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা স্বর্গীয় সুধীর চন্দ্র সাহা ও স্বর্গীয় মাতা কুল বালা দেবীর ৩য় সন্তান ।তিনি যখন পাঁচ মাসের মাতৃ গর্ভে তখন তার পিতার মৃত্যু হয়। হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালে দারিদ্রতার কারনে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ালেখার সমাপ্তি ঘটে । জীবন জীবিকার প্রয়োজনে কাজের সন্ধানে আট নয় বছর বয়সে গ্রাম ছেড়ে রংপুর সিঙ্গারা হাউজ  নামক চায়ের দোকানে তার কর্ম জীবন শুরু হয় সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর গাইবান্ধা জেলার শাপলা আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে চাকুরী নেন সেখানে  কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ীতে ফিরে আসেন। বাড়ীতে এসে মেজ বৌদির উৎসাহে মিষ্টি তৈরী করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরী করে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক মাস যাবার পর ঘোড়াঘাটস্ত ইউসুপ আলীর মহুয়া আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে  চাকুরী নেন।সেই ফ্যাক্টরীতে তিনি রাত্রী যাপন করতেন এবং প্রায় চার পাঁচ মাস পর দুলাল ঠাকুর মহামায়া কে মানব আকৃতিতে স্বপ্নে দেখেন প্রায় রাত্রীতে ।একদিন রাতে আনুমানিক দুইটার দিকে জগৎ জননী মা তাকে ডেকে বলছেন দুলাল দুলাল উঠতো অবিকল তার মায়ের কষ্ঠ।তিনি ভাবলেন এতো রাত্রীতে মা কি জন্য এত দুর থেকে আসলো।তিনি তারাহুরো করে ঝাপ খুলে দেখে মা কালি মুণ্ডমালা গলায় দিয়ে উগ্র মূর্তি ধারন করে দাঁড়িয়ে আছেন।এই অকল্পনীয় দৃশ্য দেখে ঠাকুরের শরীর পাথর হয়ে যায়।মা জগত জননী প্রথম দেখা দিয়ে বলেন বহু কাল পুর্বে এই আইসক্রীম ফ্যাক্টারীর নিচে আমার পূজার বেদী ছিল এবং এখানে পূজার হত আমি বহু কাল থেকে কষ্টের ভিতরে আছি বহু দেশ ঘুরে তোকে পেয়েছি।আমাকে প্রতি শনিবার মঙ্গলবার একটু ফুল জল দে ধূপ ধূনো দে এতে তোর ভাল হবে গ্রামের ভাল হবে দেশের ভাল হবে।এই বলেই পলকে মা জগৎ জননী অদশ্য হয়ে গেল।তার পরে মায়ের আদেশ অনুযায়ী আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে ঠাকুর পল্লী মাটি দিয়ে বেদী তৈরী করেন।প্রতি শনিও মঙ্গলবার মা জননীর শ্রী চরনে ফুল জল ধূপ ধূনো নিবেদন করে।এভাবে কিছু দিন চলার পর দুলাল ঠাকুর দিনে কি রাতে যখন তখন তিনি না কি মা জগৎ জননীর ভাবাভেষ হত এবং জ্ঞান শুন্ন হয়ে পরে শরীর খত বিখ্যত হত।এসব দেখে ওই এলাকার লোক জন বিভিন্ন অপপ্রচার করত।মায়ের নিষেধ থাকায় ঠাকুর না কি মূখ খুলেতন না।এরপর শুরু হল এক নতুন অধ্যায়য়।মায়ের নির্দেশে ঠাকুর গোবিন্দগঞ্জের মেয়ে আলোর সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হন।এক দিন মায়ের নির্দেশে ঠাকুর গ্রামবাসী সকলকে বললেন আগামি ২২শে বৌশাখে মা কালী আর্বিভাব হবে।ওই দিন সকলকে নিরামিস খাবার জন্য ঠাকুর অনুরোধ করলেন।এ কথা গ্রাম বাসীরা অনেকেই বিশ্বাস করলনা এবং কেউ কেউ বলল যেহেতু দুলাল বলছে দেখা যাক কি হয়।ঠাকুরের কথা মত ২২শে বৌশাখের দিন করতোয়া নদীর চরে কাউন ক্ষেতে মাটি খুরে মা কালীর বিগ্রহ তুলে ঠাকুরের বাড়ি নিয়ে আসে।এতে গ্রাম বাসীরা ঠাকুরের প্রতি আস্থা ফিরে আসে।এবং একথা টি মুখে মুখে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল।এবং দলে দলে মানুষ ঠাকুরের বাড়ি আসতে শুরু করল।গ্রামবাসীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় একটি মন্দির স্থাপিত করল এবং ঠাকুর নিত্য পূজা শুরু করে।ঠাকুরের  পূজার সময় মায়ের নুপুরের শব্দ ও শিব বাবার ডুকডুগির শব্দ মায়ের মুখ হতে উলুধ্বণী শোনায় এতে মা তার অলৌকিকতার প্রমান রেখেছেন। প্রতি দ্বীপানিতি কালীপুজায় মায়ের শ্রীপদ্মচরণ ও কেসরাশী ঠাকুর ভক্তদের দেখান।প্রতি বছর ২২শে বৈশাখ করতোয়া নদীতে পুন্য স্নানের সময় ঠাকুর করতোয়া নদীতে ডুব দিয়ে অলৌকিক প্রসাদ তুলে ভক্তদের ভক্তদের মাঝে বিতরণ করেন।পুজা শেষে মাটি খুঁড়ে বিগ্রহ তুলেন। এ হলো একজন দুলাল সাহার দুলাল ঠাকুর হয়ে উঠার গল্প।