নিউজ ডেস্ক :: পদ্মা সেতুর মূল পাইলিংয়ের কাজ আগামী অক্টোবর মাস থেকে শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে টেস্ট পাইলিং। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মূল পাইলের আদলেই শুরু হয়েছে ট্রায়াল পাইলের কাজ। নদীতে তীব্র স্রোতের ভেতরই কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রায়াল পাইল থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে মূল পাইলিংয়ের জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা।
পদ্মার মাওয়া প্রান্ত থেকে ৯০০ মিটার দূরে প্রবল স্রোতকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতুর ট্রায়াল পাইলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর জন্য পদ্মার ২ প্রান্তে ৫টি করে ১০টি টেস্ট পাইলিং করা হবে। আর সেতু থেকে সড়কে নামার জন্য ২ পাশে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ৮টি করে ১৬টি ভায়াডাক্ট পাইল বসানোর কথা রয়েছে।
এরমধ্যে এখন পর্যন্ত শুধু মাত্র মাওয়া প্রান্তে ৩টি টেস্ট পাইল আর ৫টি ভায়াডাক্টের কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পাইলের আগে নদীর ২ প্রান্তে ২টি ট্রায়াল পাইলের কাজ হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাওয়া প্রান্তের ট্রায়াল পাইলটির কাজ শুরু হয়েছে এর মধ্যেই। ভায়াডাক্টের জন্য ২৪টিসহ সেতুতে মূল পাইল বসানো হবে ২৬৪টি।
এদিকে, পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের নদী ভাঙন আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের মেজর ব্রিজ কোম্পানি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের ৫টির মধ্যে ২টি জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে থাকা জেটির কোন ক্ষতি না হলেও জেটির সংযোগ সড়ক ও ক্রেনের রেল লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বাঁশ ও খুঁটি দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে।