দক্ষিণাঞ্চলের বহু দিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে বিষয়টি ঝুলে ছিল। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় গত শনিবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন হলো। তবে এখন দাবি উঠেছে সেতুটির নাম ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেতু’ করার। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নামে নামকরণ না করার বিষয়ে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে বিভিন্ন মহলের দাবি, পদ্মা সেতুশেখ হাসিনার নামেই নামকরণ করা উচিত। কারণ, তার শত ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে তার নামেই সেতুটির মহত্ব প্রকাশিত হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রুপ দিতে যে সাহসী সংগ্রাম করেছেন আমি তো মনে করি এই সেতু ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নামকরণ করা উচিত। কারণ, তিনি বিশ্বব্যাংকসহ সকলের বিরুদ্ধেই সংগ্রাম করেছেন। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে পৌর নির্বাচনে করণীয় নিয়ে বর্ধিত সভায় পদ্মা সেতুর নামকরণ ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ নামে করার প্রস্তাব দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। এর আগে গত বছর বাংলাদেশের দীর্ঘতম এই সেতু বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে করার দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল বলেছিলেন, পদ্মা সেতু কোনো ব্যক্তির নামে হবে না।পদ্মা সেতুর নামের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নামকরণের ব্যাপারে সংসদে এবং সংসদের বাইরে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সেতুটির নামকরণের কথা বলেছেন। এটা শুধুইমোশনের বিষয় নয়, এর পেছনে যুক্তিও আছে। এই মহীয়সী নারী কখনও ফার্স্ট লেডির মতো হননি। সারা জীবন শুধু ত্যাগ করেছেন। ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানা দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেতুটির নাম পদ্মা সেতু হবে, কারও নামে হবে না। প্রধানমন্ত্রী তাকে সংসদে ডেকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।