ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:০০:৩৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

পদ্ধতি নিষ্ঠুর হলেও কাজ হয়েছিল

| ২৯ অগ্রহায়ন ১৪২১ | Saturday, December 13, 2014

এক দশক আগে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আটক সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইএ কিছু ‘ঘৃণ্য পদ্ধতি’ ব্যবহার করেছে বলে স্বীকার করেছেন এর বর্তমান পরিচালক জন ব্রেনান। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সিনেট কমিটির রিপোর্টে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুল। ওই ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সিআইএ কর্মীরা ‘সঠিক কিছু তথ্য’ বের করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বন্দিদের জেরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই গোয়েন্দা সংস্থার ‘নিষ্ঠুর’ পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয়ে সিনেটের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সমালোচনার মধ্যে প্রথমবারের মতো মুখ খুলে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলেন এর প্রধান।

গত মঙ্গলবার গোয়েন্দাসংক্রান্ত সিনেট কমিটি সিআইএর বন্দি নির্যাতনের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বন্দিদের বারবার পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন করা ছাড়াও যৌন নির্যাতনের হুমকি দিয়ে, পায়ুপথে বরফ ঢুকিয়ে, চড় মেরে, ঠাণ্ডার মধ্যে রেখে, এমনকি দিনের পর দিন ঘুমাতে না দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। নির্মম কৌশলে জেরা করা নিয়ে সিআইএ জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা প্রকাশ্যে যতটুকু নির্যাতনের কথা বলেছে প্রকৃতপক্ষে তার চেয়েও অনেক বেশি নির্মম নির্যাতন করেছে। তার পরও এ পদ্ধতিতে হুমকি মোকাবিলা করার মতো কার্যকর কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে সিআইএ ব্যর্থ হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সিআইএর নিষ্ঠুরতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ায় সংস্থার সদর দপ্তরে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সিআইএ পরিচালক ব্রেনান আটক সন্দেহভাজনদের জেরার কিছু পদ্ধতি ‘নিষ্ঠুর’ এবং ‘ঘৃণ্য’ ছিল বলে স্বীকার করেন। তবে তিনি এটাও বলেন, এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু কর্মকর্তা এমন কাজ করেছিলেন। বেশির ভাগই তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কিছুর উত্তর সহজে পাওয়া যাচ্ছিল না, সে সময় সিআইএ সঠিক অনেক কিছু করেছে।’ ব্রেনান আরো বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি পরিকল্পনা উদ্ঘাটন, সন্ত্রাসীদের আটক এবং বহু প্রাণ রক্ষায় সহায়ক হয়েছে।’

২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সময়ে জঙ্গি আটক এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ওই কর্মসূচি শুরু করা হয়। সে সময় জন ব্রেনান ছিলেন সিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা।

সিআইএর ওই নির্যাতনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বুশ সবই জানতেন বলে দাবি করেছেন তাঁর সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি। যদিও চেনি সিনেট কমিটির প্রতিবেদনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।