নীলফামারী: জেলার ৬ উপজেলা জুড়ে পূজামণ্ডপ গুলো বিভিন্ন ভাবে সু-সুজ্জিত করা হয়েছে। পূজাকে ঘিরে আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
নীলফামারী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রথিস চন্দ্র রায় ও নীলফামারী জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বাপী জানান, গত বছর জেলায় ৭৭৭টি মণ্ডপে শারদীয় উৎসব হলেও চলতি বছর ৩৮টি পূজামণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়ে ৮১৫টি মণ্ডপে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে নীলফামারী পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দা শাখা মতে ৮১৫টি পূজামণ্ডপের মধ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৪ ও ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৭টি সহ মোট ৩৩১টি মন্ডপে চিহিৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ২৬৬টি পূজামণ্ডপের মধ্যে অতিরিক্ত ঝুকিপূর্ণ ৬১টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি, ডোমার উপজেলায় ৯০টির মধ্যে অতিরিক্ত ঝুকিপূর্ণ ২৩টি।
পূজা উদযাপন পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায় বলেন, ইতোমধ্যে শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উৎসব নির্বিঘ্নে করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এ জেলায় ৮১৫টি পূজামণ্ডপের জন্য সরকারিভাবে ৩৮৫ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা প্রতিটি পূজামণ্ডপকে সমপরিমাণে বন্টন করা হয়েছে।
নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন জানান, এ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপত্তা জোড়দারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে এ জেলায় যাতে শান্তিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।