ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:২৫:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

নিবন্ধনের শর্ত যাচায়ে ইসির চিঠির জবাব দেয়নি অর্ধেক দল

| ৮ অগ্রহায়ন ১৪২৪ | Wednesday, November 22, 2017

ইসির চিঠির জবাব দেয়নি অর্ধেক দল

নিবন্ধনের শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কি না তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে চিঠি দিয়েছিল তার জবাব দেয়নি নিবন্ধিত অর্ধেক রাজনৈতিক দল। গত ১ নভেম্বর এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলেছিল ইসি। সে হিসাবে গতকাল মঙ্গলবার ছিল জবাব পাঠানোর শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে অর্ধেকের মতো দল জবাব পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি আরো সময় চেয়েছে। এই তিন দলকে জবাব পাঠানোর জন্য সময় দেওয়া হবে। এ ছাড়া যদি কোনো দল সময়মতো জবাব দিতে না পারে, তাহলে তাদের জবাব দেওয়ার জন্য আবারও তাগাদা দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ’

ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ প্রায় ২০টি দলের জবাব ইসির সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছেছে।

গত ১ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০বি-এর শর্তাদি প্রতিপালনের শর্তে নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০এইচ(ডি) অনুযায়ী ৯০(বি)-এর দফা(১)(বি)-এর কোনো বিধান লঙ্ঘিত হলে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হবে। ওই বিধানের প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯ অনুসারে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালন সম্পর্কে কমিশনের অবহিত থাকা প্রয়োজন।

চিঠিতে কমিশন সচিবের কাছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালনের বিষয়টি অবহিত করতে বলা হয়েছে। ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।ইসির কর্মকর্তারা আরো জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধানও রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নিজেরাই বিলুপ্ত ঘোষণা করে, সরকার যদি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে, দলগুলো যদি কমিশনকে তাদের চাহিদামাফিক তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয় এবং পর পর দুই টার্ম যদি কোনো দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। এ আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো ইসিকে তথ্য জানাতে বাধ্য।

একাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ঘোষিত রোডম্যাপে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করছে কি না তার তথ্য অক্টোবর মাসের মধ্যে সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল নির্বাচন কমিশনের। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে ফেব্রুয়ারি মাসে দলগুলোর নিবন্ধন বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রোডম্যাপে উল্লেখ রয়েছে।

ইসির রোডম্যাপে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধানের আলোকে পরিচালিত হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখার আইনানুগ দায় ইসির রয়েছে। তারা শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সিদ্ধান্ত হয়েছে; যাতে সব নিবন্ধিত দল একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দলগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর নির্বাচিত কমিটি ও মাঠ অফিসের কার্যক্রম ঠিক রয়েছে কি না তা সঠিকভাবে যাচাইয়ে একটি ‘বিশেষ দল’ তদন্তে নামবে। নিবন্ধনের সময় দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারলে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘কারণ দর্শানো’ নোটিশ দিয়েই প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু হবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এ পর্যন্ত ৪২টি দল নিবন্ধিত হয়। এর মধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় এবং সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল এবং আদালত ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।