নারায়ণগঞ্জ ■ বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে ৩০০ বছরের পুরোনো একটি শ্মশ্মান দখল করে সেখানে লাশ সৎকারে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। ইউনিয়নের আড্ডা শ্যামপুর মুনিঋষিপাড়া গ্রামের শ্মশা¥নের প্রবেশ পথ ইতিমধ্যে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে এখানে কোন শ্মশ্মান ছিল না। আর যেখানে বেড়া দেওয়া হয়েছে সেটি তাদের কেনা জায়গা।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানায়, ধামগড় ইউনিয়নের আড্ডা শ্যামপুর এলাকার ব্রহ্মপুত্র পাড়ে অবস্থিত শ্মশ্মানটিতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে মরদেহ সৎকার করে আসছে তারা। সম্প্রতি শ্মশ্মানের জায়গা কিনে নিয়েছে এমন দাবি করে আয়নাল হক চেয়ারম্যানের ছেলে কামাল উদ্দিন সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ আটকে দিয়েছে। চেয়ারম্যানের ছেলে হিন্দু সম্প্রদায়কে হুমকী দিয়ে বলেছে ওই শ্মশ্মানে কোন লাশ পোড়ানো যাবেনা। কেউ এর ব্যতিক্রম করলে দেখে নেওয়ারও হুমকী দেয় কামাল। ফলে আড্ডা, শ্যামপুর, মুনিঋষিপাড়ার হিন্দু লোকজন মৃত ব্যক্তির সৎকার করাতে সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তি নারায়ণ বাবু (৭৫) জানান, আড্ডা গ্রামের শ্মশ্মানটিতে ৩০০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় তারা মরদেহ সৎকার করছেন। এছাড়া সেখানে নিয়মিত পূজার্চ্চনাও করেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে জায়গাটি চেয়ারম্যানের দখলে থাকায় তা করতে পারছেননা তারা। এব্যাপারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সহযোগিতা কামনা করেছেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদশন করেছেন হিন্দু মহাজোটের বন্দর উপজেলার সভাপতি শংকর চন্দ্র দাস।বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে শ্মশ্মাটির চারিদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার সত্যতা পেয়েছি। এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে শ্মশ্মানে যেতে না পারে সেজন্য চেয়ারম্যনের ছেলে কামাল উদ্দিন প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বিষয়টি তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান, শ্যামল।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আয়নাল হক চেয়ারম্যানের ছেলে কামালউদ্দিন বলেন, আড্ডা শ্যামপুর গ্রামে কোন কালে শ্মশ্মান ছিলনা। আর যেখানে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে সেটি তাদের কেনা জায়গা।
বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে শ্মশ্মান আছে দেখেছি। তিনি বলেন, বিষয়টি মীমাংসা কল্পে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকেছি।