ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:২৪:০৫

না.গঞ্জে প্রতিমা ও মণ্ডপ সজ্জায় ব্যস্ত শিল্পীরা

| ৫ আশ্বিন ১৪২১ | Saturday, September 20, 2014

 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরি কাজ। প্রতিমা ও পূজা মণ্ডপ তৈরি করতেব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা ও মণ্ডপ চারুকারুর শিল্পীরা। গত কয়েক সপ্তাহআগে থেকে কাজ শুরু করে প্রতিমার মাটির প্রলেপ দেয়া হয়ে গেছে।

বাকি রয়েছে রঙআর তুলির কাজ। এ দিকে মণ্ডপ সাজাতেও রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে চারুকারুশিল্পীরা। পূজা মণ্ডপের ডিজাইন অনুযায়ী কাজ মাত্র শুরু করেছেন চারুকারুশিল্পীরা। তবে এবছর উপকরণ ব্যয় বাড়ার কারণে প্রতিমা তৈরী ও মণ্ডপ সজ্জারব্যয়ও বেড়েছে।এদিকে নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সড়কে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২ টি ফলক তৈরি করতে পুরোদমে কাজ করছে ডেকোরেটর শ্রমিকরা।আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হবে।বিশ্ব শান্তির কল্যাণে হিন্দুধর্মালম্বীদের এই সর্বোবৃহৎ ধর্মীয় উৎসবশারদীয় দূর্গাপূজা ৩০ সেপ্টেম্বর মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে।৪সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গা উৎসব।এবছর জেলায় ১৮৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে৩৪টি, ফতুল্লায় ২৫টি, সোনারগাঁয়ে ২৮টি, বন্দরে ২১ টি, আড়াইহাজারে ৩০টি, রূপগঞ্জে ৪১টি ও সিদ্ধিরগঞ্জে ৭টি মণ্ডপ রয়েছে। তবে এর মধ্যে শহর ও শহরতলীরপুজা মণ্ডপগুলো স্পর্শকাতর। কারণ পুজার সময় ওই সকল পুজা মণ্ডপগুলোতে থাকেউপচেপড়া ভীড়।প্রতিমার কাজের অগ্রগতি সর্ম্পকে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রীবলদেব জিউর মন্দিরের গোবিন্দ পাল নিউজ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, বিগত ১০ থেকে ১৫বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভালো কাজপেয়েছি। সময়ের স্বল্পতার কারণে অনেক কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। গত বছর ১২ টিপ্রতিমার কাজ করেছিলাম। এবছর ১৩ টি প্রতিমার কাজ করছি এবং আরো ২ টিপ্রতিমার কাজের জন্য কথা চলছে। নারায়ণগঞ্জের শহরে বাইরেও অনেক প্রতিমা তেরিকরা হচ্ছে। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের বেশ কিছু অর্ডার রয়েছে। আর এসব প্রতিমাতৈরি করতে আমরা কাজ করছি প্রায় ৬ থেকে ৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর প্রতিমারবাজেট অনেক বেশি। এবছর প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে নেয়া হচ্ছে ৮০ হাজারথেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রতিমার শাড়ী অলংকার পূজা কমিটিরকর্তৃপক্ষ দিবে। বর্তমান বাজারে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ার কারণে প্রতিমারসকল জিনিসপত্রে দাম বেশি। আবার কারিগরের খরচও বেশি তাই এ বছর প্রতিমার খরচবেশি নেয়া হচ্ছে।একই মন্দিরের চারুকারু শিল্পী রাজীব বাঙাল বলেন, গত ২দিন আগে থেকে কাজ শুরু করেছি। ৩টি পূজা মণ্ডপের কাজ করছি তার মধ্যে সবচেয়েবড় কাজই শ্রী শ্রী বলদেব জিউর মন্দিরের কাজ। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছেপ্রায় ৩ লাখ টাকা। এ বছর সকল জিনিস পত্রের দাম অনেক বেশি তাই এ মন্দিরেরচারুকারু কাজের ব্যায় বেশি হবে। যেমন একটি হাফ ইঞ্চি ককসিট গত বছর কেনাহয়েছিল ৭৫ টাকা দিয়ে কিন্তু এবছর ক্রয় করা হয়েছে ১১৫ টাকা দিয়ে। তেমনিশ্রমিকের মজুরী, কনভেনস সহ রঙের খরচ যে পরিমাণ বাড়ছে। এ পূজা মণ্ডপ ছাড়াওআরো ১ টা মন্ডপের কাজ করছি। সেটা অনেক কম বাজেট কিন্তু আরো একটা কথা চলছে।শহরের দেওভোগ মন্দিরের প্রতিমা কারিগর তারক নাথ দাস বলেন, এখন প্রতিমার খড় ও মাটির কাজ শেষ এখন কাঁচা মাটি শুকাতে বাকি। অনেককাজের অর্ডার পাওয়া গেছে সময় ও লোকবলের অভাবের কারণে কাজ করতে পারছি না।বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবছর প্রতিমার ব্যয় অনেক বেশি। একটি প্রতিমা তৈরিকরার জন্য নেওয়া হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবছরপ্রতিমা তৈরি করা জন্য বিগত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্তবেশী নেওয়া হচ্ছে। প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছেপ্রতীমার দামও।মন্ডপ চারুকর শিল্পী অজিত শীল বলেন, পূজার কাজেরচাহিদা আছে কিন্তু সব জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে মণ্ডপ সাজানোর ব্যয়বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। ৪ থেকে ৫ বছর ধরে পূজা মন্ডপের কাজকরছি। এবছর ৩টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি। যার মধ্যে ডাইলপট্টি সার্বজনীনপূজার সবচেয়ে বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ কাজেনিয়োজিত রয়েছে আমাদের গ্রুপের ৪ জন। এছাড়াও তামাকপট্টি কুমদিনি অয়েলট্রাস্টের ও শীতলক্ষ্যা মন্দিরের পূজার মন্ডপের কাজ করছি ওই গুলো খরচ অনেককম। দুটি মন্দিরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কাজ শুরু করেছিকয়েকদিন আগে তাই রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে।