ঢাকা, মার্চ ১৯, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০৯:৫১:২৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

নতুন স্বপ্ন নিয়ে ১৪ বছরে জবি

| ৫ কার্তিক ১৪২৫ | Saturday, October 20, 2018

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রাটা শুরু হয় প্রায় ১৬০ বছর আগে। তখন নাম ছিল ‘জগন্নাথ স্কুল’। এরপর কলেজ পেরিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মর্যাদা পায় ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর।

এরপর নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ১৩টি বছর পার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার জবির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

এই মাসেই জবির নতুন ক্যাম্পাসের জন্য একনেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বিল পাস হয়েছে। তাই, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিঃসন্দেহেই পালিত হবে কিছু নতুন স্বপ্ন ও আশা নিয়ে। আনন্দে যোগ হবে এক অন্য মাত্রা।

তবে, আজ ছুটির দিন হওয়ায় আগামী সোমবার উদযাপন করা হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি পরিবর্তন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণ এবং পাঠদান দুটি কাজই হয়ে থাকে। আমরা এটি করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মেধাবীরা ভর্তি হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মেধাবী। শিক্ষকদের অনেকে বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন। ইউজিসি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চারুকলা, সঙ্গীত, নাট্যকলার মতো বিষয় খোলার মাধ্যমে সুকুমারবৃত্তির সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটেছে।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সমস্যা ছিল একাডেমিক ও আবাসন সমস্যা। সরকার আমাদের কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমি দিয়েছে। এখানে মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আবাসনের ব্যবস্থা করা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে।’

১৮৫৮ সালে টাঙ্গাইলের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী পুরান ঢাকায় একটি ব্রাহ্মস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৮৭২ সালে তাঁর বাবার নামানুসারে এটির নামকরণ করেন ‘জগন্নাথ স্কুল’। ১৮৮৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ, ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজ ও ১৯৬৮ সালে সরকারি কলেজে পরিণত হয় এই প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর সাত একর জায়গা নিয়ে জাতীয় সংসদে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’ এর মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সংকুলান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, নতুন একাডেমিক ভবন এবং গবেষণা কাজের সুবিধার্থে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ২০০ একর জমিতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক ও ১৯ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এ ছাড়া ২০১৩ সালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের জন্য এক হাজার আসন বিশিষ্ট ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে ১৬তলা বিশিষ্ট হলটির নির্মাণ কাজ চলছে। এ বছরের শেষে নারী শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।