বাগেরহাট: রামপালে নৌকায় বিধবাকে গণধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হিন্দু কমিউনিটি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের সাধনার মোড় ও প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে গত ১২ মার্চ রাতে ধরে নিয়ে নৌকায় তুলে ওই বিধবাকে গণধর্ষণের পর পাঁচ দিন একটি বাড়িতে আটকে রাখে দুবৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কুমারখালী গ্রাম থেকে মল্লিকেরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলামের প্রচেষ্টায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণধর্ষণের শিকার ওই বিধবা।
রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর নির্যাতনের আলোচিত এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও রামপাল থানা পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এজন্য মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পেড়িখালী ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ও রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুলকে দায়ী করা হয়। অবিলম্বে বাবুলসহ তার ক্যাডারদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান নেতারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন ব্যানার্জী, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়, সাধারণ সম্পাদক অবণীশ চক্রবর্ত্তী সোনা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার শেখ আব্দুল জলিল, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, কল্লোল সরকার, সুপ্রভাত হালদার, দিলীপ রানা, জিৎ সাহা প্রমুখ।
বাগেরহাট জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ, মহিলা হিন্দু পরিষদ ও আইনজীবী পরিষদ যৌথভাবে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। পরে জেলা মহিলা পরিষদ, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে।