ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৬:৪৪:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

দেড়শ বছর পর আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ

| ১৮ মাঘ ১৪২৪ | Wednesday, January 31, 2018

আজ রাতে বিশ্ব এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখবে। দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। একই সাথে পূর্ণগ্রাস ও চন্দ্রগ্রহণ একটি বিরল ঘটনা। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ১৫২ বছর আগে। নতুন বছরের শুরুতেই এরকম ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী। তবে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক এই ঘটনাটি বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে। এই রাতে কক্ষপথে একইসঙ্গে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য নৃত্য করবে! এর ফলে ওই রাতে সুপারমুন বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এমনটা ঘটছে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের অসম প্রদক্ষিণের কারণে। চাঁদ পৃথিবী থেকে গড়ে দুই লাখ ৩৯ হাজার মাইল দূর থেকে প্রদিক্ষণ করে। কিন্তু কক্ষপথে এর বৃত্ত পূর্ণ না। কখনও এটি পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে (অনুভূ) আবার কখনও এটি দূরে সরে যায় (অপভূ)।
চাঁদের অনুভূর সময় সূর্য-চাঁদ-পৃথিবী কক্ষপথে সমান্তরালে থাকাবস্থায় সুপারমুন হয়। কেননা এটি পৃথিবীর দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৯ মাইল কাছে চলে আসবে। এ কারণে ১৫ জানুয়ারির তুলনায় চাঁদ ১৩ শতাংশ চওড়া ও ২৮ শতাংশ বড় দেখা যাবে। সেদিন চাঁদ পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ দূরবর্তী অবস্থানে ছিল। তবে সুপারমুনের ক্ষেত্রে চাঁদ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশকিছুটা বড় দেখা যায়। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি এটিকে ব্লু সুপারমুন বলার কারণ হচ্ছে এটি চলতি মাসের দ্বিতীয় সুপারমুন। এ মাসের প্রথম দিন পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়, যেটি ছিল বড় ও উজ্জ্বল সুপারমুন। কিন্তু ব্লু মুন প্রতি ২ দশমিক ৭ বছর পর দেখা যায়। চাঁদের সঙ্গে দিনপঞ্জিকার অসামঞ্জস্যতার কারণে এটি দেখা যায়। পূর্ণিমা থেকে ক্ষয়িঞ্চু এই চক্র পূরণ করতে চাঁদের ২৯ দিন সময় লাগে। যা ক্যালেন্ডারের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। ওইদিন রাতের শেষ আকর্ষণ হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ। নাসা জানাচ্ছে, উত্তর আমেরিকা জুড়ে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বাসিন্দারা দিনের প্রথম প্রহরে চাঁদ রক্তাভ আকার ধারণ করছে এমনটা দেখতে পাবেন। তবে পশ্চিম উপকূলের বাসিন্দারা এরচেয়েও বেশি কিছু দেখতে পাবেন। তবে হাওয়াই, আলাস্কা, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ার মানুষরা পুরো চন্দ্রগ্রহণটা দেখতে পাবেন। যদি আপনি বাইরে যেতে না পারেন কিংবা মেঘের কারণে দেখতে না পারেন তাহলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই, কেননা নাসা টিভি পুরো ঘটনাটাই সম্প্রচারের পরিকল্পনা করেছে।

চন্দ্রগ্রহণের সময় ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিটে চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠবে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মধ্যবর্তী অংশ ৭টা ২৯শ মিনিটে সংঘটিত হবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সর্বমোট ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট স্থায়ী হবে। রাত ১০টা ৮ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায় শেষ হবে। কীভাবে দেখবেন চন্দ্রগ্রহণ চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নানা প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মান্ডায় অবস্থিত গ্রিন মডেল টাউনে। এই ক্যাম্প থেকে ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ঢাকার বাইরে রাজশাহীর রুয়েটে, বরিশালে, পঞ্চগড়ে, ঝিনাইদহে জেলায় ও অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্যোগে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করবে। আকাশ পরিষ্কার থাকা সাপেক্ষে ক্যাম্প শুরু সন্ধ্যা ৫টা ৪৮মিনিট থেকে। গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা আরটিভি অনলাইনকে জানান, সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর নয়। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ আবশ্যক নয়, তবে পরিষ্কারভাবে দেখতে সেগুলোর ব্যবহার করা যেতে পারে। ছবি তোলার জন্য যেকোন জুম লেন্সসহ ক্যামেরাই যথেষ্ট। চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য অনুসন্ধিৎসু চক্রের কেন্দ্রীয় দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। ঠিকানা: ৪৮/১, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, ঢাকা-১২১৪। ফোন: ৭২৭৫৮৮৫, ০১৮১৯৯২৬১৬০।