ঢাকা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:৪৬:২৮

দেশে ৪% শিশু ত্রুটি নিয়ে জন্মাচ্ছে বিএসএমএমইউর গবেষণা

| ৯ শ্রাবণ ১৪২৪ | Monday, July 24, 2017

দেশে ৪% শিশু ত্রুটি নিয়ে জন্মাচ্ছে

দেশে ৪ শতাংশ শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। আর প্রসূতি মায়ের ফলিক এসিড খাওয়ার ফলে সন্তানের জন্মগত ত্রুটি রোধ করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের উদ্যোগে এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. মামাদু হাদি ডিয়ালো। গবেষণা সম্পর্কে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান  অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, নবজাতক বা শিশুর জন্মগত ত্রুটি রোধে মা হতে ইচ্ছুক বা প্রসূতি মায়েদের ফলিক এসিড ব্যবহার খুবই কার্যকর হয়। তাই প্রসূতি মায়েদের ফলিক এসিড খাওয়া খুবই জরুরি।

এ ছাড়া বিএসএমএমইউতে গবেষণায় জন্মগত ক্রটির বিষয়ে দেখা গেছে, শতকরা চারটি নবজাতক জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী এ হার ৩-৬ শতাংশ। এই গবেষণায় ১৪টি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ বিভাগ। নবজাতকদের জীবন রক্ষায় ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে এই বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে জেনেটিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

জ্বর হলেই চিকুনগুনিয়া নয় : একই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপনা ভবনের সেমিনার রুমে বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিটোমেটারনাল অ্যান্ড হেপাটোবিলিয়ারি আলট্রাসাউন্ড’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, চিকুনগুনিয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জ্বরে আক্রান্ত হলেই রোগীরা মনে করে তার চিকুনগুনিয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া চিকুনগুনিয়া হয়েছে, এটা মনে করা ঠিক না। আর চিকনগুনিয়া হলেও আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হবে।

দেয়ালধসে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর পাশের ফুটপাতের দেয়ালধসে নিহত পারভীন আক্তারের (৪৫) পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গতকাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার মৃত পারভীন আক্তারের দুই ছেলে মো. হাসিফ পারভেজ পাপ্পু ও মো. হাছান রেজা অপুর হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলারুশের অনারারি কনসাল-সিআইপি অনিরুদ্ধ রায় দেয়ালধসে নিহত ও আহতদের জন্য মোট ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি ২০ হাজার টাকা আহতদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।