দূর্গা পূজায় ৩ দিন সরকারী ছুটি এবং জাতীয় সংসদে ধর্মীয় সংখ্যালঘূদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসনের দাবীতে আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হিন্দু নেতৃবৃন্দ এ সময় বলেন পাঁচদিনের দূর্গাপূজায় মাত্র একদিন সরকারী ছুটির থাকায় বৈষম্যের স্বীকার হিন্দু সম্প্রদায়। তাই অবিলন্বে বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজায় তিনদিনের সরকারী ছুটি ঘোষনা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছুটি বৈষম্য দূরকরার জোর দাবি জানান তারা ।
সংগঠনের মহাসচিব অ্যাড. গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামানিক বলেন দেশের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বহীনতার কারণেই হিন্দু সম্প্রদায় বার বার নির্যাতিত হচ্ছে এবং এদেশ থেকে তারা বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর তাই জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জ্ন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ও একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানাচ্ছি। ‘সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও হিন্দু সম্প্রদায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মুখ থাকে। অথচ শুধুমাত্র পূজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন একদিন সরকারি ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থাকে না। সেকারণে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সদাশয় সরকারের কাছে দুর্গাপূজায় শেষ তিনদিন সরকারি ছুটি দাবি করছে। সরকারকে অবিলম্বে এই নৈতিক দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান সংগঠনের মহাসচিব অ্যাড. গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামানিক।
অন্যথায় আরো বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী পূরনে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তিনি।সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিঃ যুগ্ম মহাসচিব মানিক চন্দ্র্র সরকার,মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে,যুব মহাজোটের সভাপতি রিপন দে, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি কিশোর বর্মন, প্রদীপ দে ,সমীর সরকার সহ বিভিন্ন জেলা নেতৃবৃন্দ। বক্তারা প্রত্যেকেই দূর্গাপূজায় এই বৈষম্যমূলক ছুটির অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে তিন দিনের ছুটি বাস্তবায়ন এবং যতো দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিৎ করতে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা ও একটি সংখ্যলঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবী পূরন না হলে ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রতিটি জেলা ও থানা শহরে মানববন্ধন ও ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতি জেলায়.জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে ।