ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:৪৯:২৯

দূর্গা পূজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটির দাবীতে হিন্দু মহাজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

| ২৮ ভাদ্র ১৪২১ | Friday, September 12, 2014

তিন দিনের ছুটির দাবিতে না’গঞ্জে মানববন্ধন হিন্দু মহাজোটের

দূর্গা পূজায়  ৩ দিনের সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃপ্রতিষ্ঠার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ।
শুক্রবার বেলা ১0টায় নারায়ণগঞ্জ  প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন  করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় সিঃ যুগ্ম মহাসচিব মানিক চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে সভা ও মানববন্ধনে  বক্তব্য রাখেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কানাই লাল সরকার,সাধারণ সম্পাদক এডঃ রঞ্জিত চন্দ্র দে,সহ- সম্পাদক শন্ভুনাথ সাহা,গোপাল সাহা,এলু সাহা প্রচার সম্পাদক হারাধন সাহা দপ্তর সম্পাদক পলাশ চন্দ্র বীর,সহপ্ রচার সম্পাদক সন্জীব মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি চন্দ্র ঘোষ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার নিবাহি সভাপতি প্রদীপ রায়,সহ-সভপতি বিমল নন্দী,হিন্দুযুব মহাজোটের সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা,সিমটন সাহা,মিলটন সাহা ,হৃদয় সাহা,আশীষ মন্ডল,জয় কুমার রায় হিন্দুছাত্র মহাজোটের উত্তম দাস,সিমান্ত দাস,বিপ্রাস বাড়ৈ,বিকাশ দাস,কৃষ্ণ চন্দ্র শীল, নিরমল চন্দ্র দাস,তপন চন্দ্র দে প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দূর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই হিন্দু সস্প্রদায় পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিলিত ভাবে ধর্মীয় আচার পালন করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু পাঁচ দিনের দূর্গা পূজায় মাত্র এক দিনের সরকারী ছুটি থাকায় ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করা থেকে বঞ্চিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই দিনগুলি নিরাশা, হতাশা ও বেদনার ভিতর দিয়ে অতিবাহিত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সকল সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতি সংযুক্ত করেছে। কিন্তু উক্ত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি ও সমান সুযোগ লাভের বিষয়টি সংবিধানের পাতাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে; বাস্তবে এর কোন কার্যকারীতা নেই, হিন্দু সম্প্রদায় তা বাস্তবে দেখতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায় আশা করে আসন্ন দূর্গাপূজার আগেই হিন্দু সম্প্রদায়ের এ প্রাণের দাবীটি সরকার পূরণ করবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মঠ মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, হিন্দু বাড়ীঘরে হামলা, লুটপাট, নির্যাতন, জমিদখল, ও নারী অপহরণ চলছেই। অথচ সরকার কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে না। হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বৃটিশ ও আমেরিকার পার্লামেন্টে আলোচনা ও প্রস্তাব পাশ হলেও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নিরব ভূমিকা পালন করছে। হিন্দু সম্প্রদায় মনে করছে জাতীয় সংসদে তাদের কোন প্রতিনিধি না থাকার কারনেই নির্যাতন নিপিড়নের বিরুদ্ধে সংসদে কোন আলোচনা হয় না। আর সেকারনেই হিন্দু সম্প্রদায় জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি আসন সংরক্ষন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা  এবং হিন্দু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানাচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পর ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।স্মারকলিপি প্রদান করার পর  দাবী পূরন না হলে নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে বৃহৎ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দাবী আদায় করা হবে।