দুর্নীতির দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার। তাকে ১০০ কোটি রুপি জরিমানাও করেছে আদালত।
0
0
162
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ কোটি ডলারের অবৈধ সম্পদ রাখায় ১৮ বছর আগের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে শনিবার আদালতের এই রায় আসে।
রায়ের ফলে কারাভোগের পাশাপাশি জয়ললিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে জয়ললিতার দল এডিএমকে বিক্ষোভ শুরু করেছে বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
জয়ললিতার দল ও ডিএমকের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের পর তামিলনাড়ুতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। রায়ের পর তার সমর্থকরা ডিএমকের প্রধান এম করুনানিধির চেন্নাইয়ের বাসভবনে ঢিল ছুড়ে।
শুনানি উপলক্ষে সকালে চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালুরু যান জয়ললিতা। সেখানে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালতে রায় দেওয়া হয়।
১৮ বছর আগে ললিতার অবৈধ সম্পদ রয়েছে অভিযোগ তুলে মামলাটি করেছিলেন বর্তমানের বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী। পরে জয়ললিতার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডিএমকে ক্ষমতায় এলে এই মামলা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। আদালতের রায়ে জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সসিকালা নটরাজনসহ তিন সহযোগীকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯১ থেকে ৯৬ সালে প্রথমবারের মতো তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ গড়েছেন।
বাদি পক্ষের অভিযোগ, প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে জয়ললিতা মাত্র এক রূপি বেতন নিতেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনি কমপক্ষে ৬৬ কোটি রূপির অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।এনডিটিভি জানিয়েছে, ললিতার অবৈধ সম্পদের মধ্যে দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি সোনা এবং ১২ হাজার শাড়ি রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মামলাটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন জয়ললিতা।
তার বক্তব্য, রাষ্ট্রপক্ষ তার আগের সম্পদের মূল্য কমিয়ে দেখেছে, অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া আয়ও এড়িয়ে গেছে। এবং তার সম্পদের প্রকৃত মূল্য থেকে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৭টিতে জয়ী হয়ে চমক দেখিয়েছে ললিতার দল এআইএডিএমকে। দুই বছর পরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো তামিলনাডুর ক্ষমতায় আসে জয়ললিতার দল। তখন বিরোধী পক্ষের দাবির মুখে বিচারের নিরপেক্ষতার স্বার্থে মামলাটি ব্যাঙ্গালুরুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়