ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সক্ষমতা বাড়াতে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সিস্টেম চালু করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘‘দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ” সংক্রান্ত কারিগরি প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেকনোহ্যাভেন-জেভি’র সাথে যৌথ সূচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।
এশিয়ান ডেভালপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), কোরিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে এ কারিগরি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
দুদকের এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত কিংবা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সকল কার্যক্রম নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন ও মনিটরিংয়ের স্বার্থে এ সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রকল্প শুধু বাস্তবায়ন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না বরং প্রকল্পের কার্যক্রম টেকসই করা গেলেই কারিগরি প্রকল্প কাঙ্খিত স্বার্থকতা পায়।
সভায় এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাস বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের প্রসিকিউট করার চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধই উত্তম। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, এ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত বিচারের মখোমুখি করা যাবে।
২০২০ সালে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এতে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায় হবে বলে দুদক সূত্র জানায়।
অনুষ্ঠানে টেকনোহ্যাভেনের কনসাল্টেন্ট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোঃ আবুল হাসান মনযুর মান্নান, দুদক সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ মঈদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (তদন্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ জাফর ইকবাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।