ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:১৪:০৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

দাবী আদায়ে শিল্পীরা

| ১০ ভাদ্র ১৪২১ | Monday, August 25, 2014

789.jpg

গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের অর্থনৈতিক ও নৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে বাংলাদেশ লিরিসিস্টস, কম্পোজারস অ্যান্ড পারফর্মার্স সোসাইটি (বিএলসিপিএস)। সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।

কপিরাইট ও মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীরা কিভাবে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং এথেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএলসিপিএসের সভাপতি সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক হামিম আহমেদ, সংগীত শিল্পী ফোয়াদ নাসের বাবু, মাকসুদ, আইয়ুব বাচ্চু, শুভ্র দেব, বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিএলসিপিএস এর আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহসহ দেশবরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীবৃন্দ।

বিএলসিপিএসের সভাপতি সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সংগীত স্রষ্টাদের অর্থনৈতিক ও নৈতিক তথা কপিরাইট অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সিস্যাক’  ও ‘ওয়াইপো’  এর একাধিক কনভেনশন অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনুমোদিত কপিরাইট সোসাইটি সংগীত কর্মের স্রষ্টাদের প্রাপ্য রয়্যালটি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

দীর্ঘদিন ধরেই আমরা রেকর্ড কোম্পানি, টেলিফোন কোম্পানি, টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন জায়গায় এবং ওয়েবসাইটে প্রচারিত আমাদের সৃষ্ট সংগীতগুলো থেকে প্রাপ্য রয়্যালটি পাচ্ছি না। রয়্যালটি আদায়ের লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএলসিপিএস গঠন করা হয়েছে। যেখানে অসংখ্য কণ্ঠশিল্পী, গীতিকবি এবং সুরস্রস্টা রয়েছেন। কপিরাইট অফিস, বাংলাদেশ থেকে এই সংগঠনের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংগীত ব্যবহারের অনুমোদন এবং রয়্যালটি প্রদানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। যেহেতু এই প্রতিষ্ঠান শিল্পীদের প্রাপ্য টাকা সংগ্রহ এবং বিতরণের দায়িত্ব নেবে সে জন্য আমরা সংগীত সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পীদের এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে বামবাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ধারার সংগীত কর্মীরা যুক্ত হয়েছেন।

বিএলসিপিএস এর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, এই সংগঠন অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ‘সিস্যাক’ নির্ধারিত ফরম্যাট অনুসরণে পরিচালিত হবে। শিল্পীদের প্রাপ্য রয়্যালটি অর্জনে আমরা যে বঞ্চনার শিকার হয়েছি তা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বিএলসিপিএস পুরো উদ্যোমে কাজ শুরু করলে বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ আর দারিদ্র, অসহায়ত্বের মুখোমুখি হবে না।