তুরাগ নদ দখল করে থাকা ৩০টি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্ছেদ কার্যক্রমে গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে সহযোগিতা করতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
গত ২২ নভেম্বর বিচার বিভাগীয় তদন্তে উঠে আসা তুরাগ নদ দখল করে থাকা ৩০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দখল উচ্ছেদ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। হাইকোর্টে দাখিল করা বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরাগ নদের তীর গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও বিশ্ব ইজতেমাসহ ৩০টি অবৈধ স্থাপনার দখলে রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত অবৈধ স্থাপনাগুলো হলো এনন টেক্স, ড. ফরাসউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ডোড ল্যান্ড ডেভেলপার এবং ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, প্রত্যাশা হাউজিং, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, নার্গিস আক্তার অ্যান্ড সালাহ উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর জিপার ফ্যাক্টরি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, ইউনুস মেম্বার (আনন্দ গ্রুপ), জরিনা টেক্সটাইল, হা-মীম গ্রুপের সাজিদ ওয়াশিং, বিশ্ব ইজতেমা, শিল্প সম্পর্কিত শিক্ষায়ন, টঙ্গী নিউ মার্কেট (মসজিদ মার্কেট), শাহ আলম গং, মোসলেম সরকার, মেজবাহ উদ্দিন সরকার, আবদুল হাই, আবু তাহের, গিয়াস উদ্দিন, ছোবহান শেখ, লুৎফা বেগম, ডলি বেগম, সেলিম শেখ, ফজলু মিয়া, আনোয়ার গ্রুপ, দি মার্চেন্ট লিমিটেড অ্যান্ড প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি ও টেক্সটাইল মালিক ইমান আলী।
তুরাগ নদের উভয় পাড়ে অবৈধ স্থাপনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের ফলেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম।
‘তুরাগকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার’ শিরোনামে গত বছরের ৬ নভেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। পরে ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।