ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২৭:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

তিনজনই ‘আশাবাদী’, তবে দলের সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন

| ১ মাঘ ১৪২৪ | Sunday, January 14, 2018

 

ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন চান তাবিথ আউয়াল, আসাদুজ্জামান রিপন ও মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। বিএনপি সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে চান তিনি। চেয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন। তিনি জানান, তিনি ‘আশাবাদী।’

একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। তাঁর আজ রোববার মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা তিনজনই আশাবাদী, তবে জানিয়েছেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তাঁর জন্যই কাজ করবেন তাঁরা।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়ন পাবো, এ ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী। এর আগের নির্বাচনেও আমাকে এই দল সমর্থন দিয়েছিল।’

তাবিথ আউয়াল আরো বলেন, ‘দল যাকে প্রার্থী করবে আমি এবং আমার সাপোর্টাররা মিলিতভাবে ওই প্রার্থীর জন্য কাজ করব।’

গতবার নির্বাচনের সময় ভোট বর্জন করেছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাবিথ বলেন, ‘আগে দল থেকে মনোনয়ন কনফার্ম হোক। তারপর আগামী নির্বাচন ও গত নির্বাচন নিয়ে কথা বলব।’

যদি দল থেকে মনোনয়ন না পান তখন দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে সংগঠন করে এসেছি। সবসময় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং দলের দুঃসময়ে সামান্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। আমার লেখাপড়া, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বিভিন্ন দেশের নগর উন্নয়ন সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে আশা করি।’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমি অবিভক্ত ঢাকা মহানগরী থাকাকালীন সময় থেকে দলের চেয়ারপারসনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করি। আমি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরসহ অনেক দেশের নগর ভ্রমণ করেছি। ওখানকার নগর ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেখানকার মেয়রদের সঙ্গে কথা বলেছি। এতে আমার নগর পরিচালনায় অভিজ্ঞতা আছে। এসব দিক ভেবে আমি আমাদের নগর উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস দলীয় মনোনয়ন পাবো।‘

মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে শুকরিয়া আদায় করছি পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট তিনি আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন কেনার জন্য। ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি আমাকে অনুমতি দিয়েছেন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য। আমরা আগেও বলেছি ২০১৮ সাল পরিবর্তনের বছর। পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তন ইনশাল্লাহ হবে। পরিবর্তন হবে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষেই।’

মনোনয়ন না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তাঁর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।

ওই তিনজন ছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন দলের সহ প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম।